ইউক্রেন যুদ্ধে প্রয়োজন হলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়ে রেখেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পুতিনের এই ঘোষণার পর উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোতে। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হলে এর পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন পশ্চিমা নেতারা।
এদিকে, সম্প্রতি পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়েছে, ফিনল্যান্ড-নরওয়ে সীমান্ত বরাবর পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম ১১টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে রাশিয়া। বেশ কিছু উপগ্রহ চিত্রের ভিত্তিতে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে পশ্চিমা গণমাধ্যম।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর ও ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিনের নির্দেশ মতো ১১টি টিইউ-১৬০ নিউক্লিয়ার বোমারু বিমান রাশিয়ার ওলেনিয়া বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মোতায়েন করা হয়েছে। কোলা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আরও চারটি টিইউ-৯৫এস তৈরি রয়েছে।
একই দাবি করেছে নরওয়ের একটি ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটও। তারা জানিয়েছে, নরওয়ে থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে ১১টি বোমারু বিমান মোতায়েন রয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে এমনটাই দেখা গেছে। দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ও সেদেশের সংবাদপত্র ওলেনিয়া বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রুশ সেনার সক্রিয়তার কথা জানিয়েছিল। বিভিন্ন সূত্রে এই খবর আসার পরই গোটা বিষয় নিয়ে তুমুল জল্পনা ছড়িয়েছে।
তবে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোর এই দাবির নিরপেক্ষতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। কেননা, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোতে এমন কোনও তথ্য উপস্থাপন করা হয়নি, যা এই দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করে। শুধু স্যাটেলাইট চিত্রের কথা উল্লেখ করেই এমন দাবি করা হয়েছে।
কিন্তু হঠাৎই কেন ইউরোপের উপর পরমাণু হামলার আশঙ্কা বাড়ছে? বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সাধারণত রাশিয়ার পরমাণু বোমারু বিমানগুলো এঙ্গেলস বায়ু সেনা ঘাঁটিতে রাখা থাকে। রাজধানী মস্কো থেকে যার দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। বর্তমান সেখান থেকে বোমারু বিমানগুলোকে ফিনল্যান্ড ও নরওয়ের সীমান্তের দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাতেই আশঙ্কা ঘনীভূত হয়েছে। যদিও বোমারু বিমানগুলোতে পরমাণু বোমা যুক্ত করা হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারেও ওই প্রতিবেদনগুলোতে নিশ্চিত কোনও তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। সূত্র: ডেইলি মেইল, ডেইলি মিরর, নিউজ এইউ
বিডি প্রতিদিন/কালাম