গুজরাট বিধানসভার ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। দুইটি দফায় গুজরাটে ভোট হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর ভোট নেয়া হবে ৮৯টি কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দফায় ৫ ডিসেম্বর ভোট নেওয়া হবে ৯৩ কেন্দ্রে। ভোটগণনা ৮ ডিসেম্বর। প্রথম দফার ভোটের জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৫ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৪ নভেম্বর, মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ নভেম্বর।
অন্যদিকে দ্বিতীয় দফার ভোটের জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১০ নভেম্বর, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২১ নভেম্বর।
আগামী বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি গুজরাট বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ১৮২ সদস্য বিশিষ্ট গুজরাট বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন ৯৯ জন, কংগ্রেসের বিধায়ক ৭৭ জন, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ১, ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি ২ এবং স্বতন্ত্র দলের ৩ জন বিধায়ক আছেন। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে বিরোধীদল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির।
গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ৪,৯১,১৭,৩৯৮। এবছর নতুন ভোটারের সংখ্যা ৩,২৪,৪২০ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এই ঘোষণা দেন। তিনি জানান, পুরো ভোট প্রক্রিয়াটি ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।
এই নির্বাচনে তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদের উৎসাহিত করা, করোনা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে, একইসঙ্গে কোন দাগী অপরাধীদের দলীয় প্রার্থী মনোনীত করা হলে সংশ্লিষ্ট দলটিকে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার কথাও বলেছে নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বিজেপি শাসিত রাজ্য হিমাচল প্রদেশেও ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশন। একটি মাত্র দফায় হিমাচল প্রদেশে ভোট হবে ১২ নভেম্বর। গণনা ৮ ডিসেম্বর।
এই রাজ্যে বিধানসভার আসন ৬৮। এরমধ্যে বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ৪৫ এবং কংগ্রেসের ২০ জন বিধায়ক আছে। হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি।
এদিকে, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে এই দুই রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তাপও বাড়ছে। উভয় রাজ্যেই ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য এবারও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে এই দুই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে তারা। সেই মতো নির্বাচনী প্রচারণায় ঝড় তুলেছে। তবে পিছিয়ে নেই কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি (আপ) এর মতো দলগুলিও।
কারণ চলতি বছরের গোড়ার দিকেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, মনিপুর, গোয়া এবং পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচনে প্রথম চারটি রাজ্যেই ক্ষমতা দখল করে বিজেপি, একমাত্র পাঞ্জাবে সরকার গড়ে আপ।