আগাম নির্বাচনের দাবিতে চলমান লংমার্চে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যা চেষ্টা হয়েছে। এটা পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নির্দেশ করে। বিশ্লেষকরা এমনটি মনে করছেন।
গত জুলাইয়ে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইমরান খান আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। তবে শাহবাজ শরিফের জোট সরকার আগাম নির্বাচন দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
গত শুক্রবার পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের দাবিতে করাচি থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করেন ইমরান খান। এই লংমার্চে কন্টেইনার ব্যবহার করে বিশেষ গাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই গাড়িতে যাত্রা করছেন ইমরান খান। তবে লংমার্চ কবে ইসলামাবাদে পৌঁছাবে তা জানায়নি পিটিআই।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনী বলছে, ইসলামাবাদে র্যালি করা খানের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কাউকে দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেওয়া হবে না। সংঘাত বা সংঘর্ষ এড়াতে ইসলামাবাদ প্রশাসন ইতোমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
লাহোর ভিত্তিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসাদ রামিন বলেন, ‘পাকিস্তানে যেহেতু সংসদীয় ব্যবস্থা বিদ্যমান। সুতরাং আগামী নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত। দেশে এখন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। এখন আমরা দেখছি, জনগণ আস্থা হারাচ্ছে। আজ ইমরান খান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আস্থাহীনতা বাড়বে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল