নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির এক এমপিকে আপত্তিকর বার্তা ও এক সরকারি কর্মকর্তাকে হুমকির অভিযোগে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন স্যার গ্যাভিন উইলিয়ামসন। তার পদত্যাগের পর প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
এ বিষয়ে ঋষির সিদ্ধান্ত এখন যাচাই-বাছাই এর মুখে পড়েছে। তাকে উইলিয়ামসনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি স্পষ্ট করে তুলে ধরার কথা বলা হয়েছে। কারণ কনজারভেটিভ পার্টির এক এমপি ও সরকারি কর্মচারীর সাথে আপত্তিকর আচরণের অভিযোগ উঠলেও তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন উইলিয়ামসন। তার পদত্যাগের পরই বিরোধী লেবার পার্টির পক্ষ থেকে বুধবার ঋষির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তারা বলছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ঋষি ন্যায়পরায়ণতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, সেখানে উইলিয়ামসনকে মন্ত্রীত্ব দেওয়ার ব্যাপারে এতটা দায়িত্বহীন হলেন কিভাবে।
এদিকে, ব্রিটেনের রাজনীতিতে গ্যাভিনের পরিচিতি ‘ঋষির ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেই। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো গ্যাভিন উইলিয়ামসনকে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হলো। প্রথমবারের নির্বাচনী প্রচারণায় সুনাককে সহযোগিতা করেছিলেন গ্যাভিন। পরে সুনাক প্রধানমন্ত্রী হলে তাকে দফতরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
উইলিয়ামসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গত তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির এক এমপিকে আপত্তিকর বার্তা পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্রিটেনের গণমাধ্যমে খবর বের হওয়ার পর চাপে পড়েন উইলিয়ামসন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তিনি জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের উদ্দেশে ৮ নভেম্বর লেখা পদত্যাগপত্রে উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘তিনি তদন্ত পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। মন্ত্রিসভায় না থাকলেও পেছন থেকে দলকে সমর্থন দিয়ে যাবেন’। তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন ঋষি।
উইলিয়ামসন আরও জানিয়েছেন, তিনি আপত্তিকর বার্তা পাঠানোর জন্য ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে অন্য অভিযোগ সত্য নয়। সুষ্ঠু তদন্ত ও সরকারের ভাবমূর্তি যাতে ক্ষুন্ন না হয় সে জন্য তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক