ইরানে সাম্প্রতিক ‘দাঙ্গায়’ জড়িত থাকার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, রোববার রাজধানী তেহরানের একটি আদালত এ মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেন।
যে ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তার নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। তবে ইরানের বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে বলা হয়, একটি সরকারি ভবনে অগ্নিসংযোগ, জনশৃঙ্খলা বিঘ্ন, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র, দুনিয়ায় দুর্নীতি, স্রষ্টার বিরুদ্ধতার অপরাধে ওই ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কঠোর বিধি মেনে হিজাব না পরার অভিযোগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাসাকে তেহরান থেকে আটক করে ‘নীতি-পুলিশ’। আটকের পর পুলিশি হেফাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে তেহরানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নির্যাতনে মাসার মৃত্যু হয়েছে দাবি করে ইরানের মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে এই বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ হেফাজতে ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির মৃত্যুর জেরে বিক্ষোভের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ‘দাঙ্গায়’ দেশটিতে প্রথম কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল