ইস্তামবুলে হামলার ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি যা সংক্ষেপে পিকেকে নামে পরিচিত। এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি এই দাবি করেছে।
রবিবার ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় প্রথমে ছয়জন নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও ইতিমধ্যে সে সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন বছরের এক শিশুও আছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮১ জন।
সোমবার ইস্তাম্বুল পুলিশ বলেছে, এ হামলার প্রধান সন্দেহভাজন হিসেবে এক সিরীয় নারীকে আটক করেছে তারা। ওই নারীই ঘটনাস্থলে বোমাটি রেখে গিয়েছিলেন। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেছেন তিনি সিরিয়ায় কুর্দি যোদ্ধাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আফরিন অঞ্চল দিয়ে তিনি তুরস্কে প্রবেশ করেন।
সশস্ত্র গোষ্ঠী পিকেকে তুরস্কের ভেতরে স্বাধীন ‘কুর্দি রাষ্ট্র’ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্ক সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে পিকেকে।
তুরস্ক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ খেতাব পাওয়া পিকেকে গোষ্ঠি এখন ইরাক এবং সিরিয়ার ঘাঁটি থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে। সূত্র: আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল