মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে খাবার না পেয়ে অপুষ্টিতে ভুগে কৃষ্ণাঙ্গ এক কয়েদির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের সেবাস্তিয়ান কাউন্টির একটি কারাগারে।
জানা গেছে, আফ্রো-আমেরিকান ওই কৃষ্ণাঙ্গ কয়েদি আরাকানসাসের সেবাস্তিয়ান কাউন্টির একটি কারাগারে আটক ছিলেন। তার মুক্তির জন্য ১০০ ডলার মুচলেকা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা দিতে না পারায় মুক্তি পাননি।
শেষ পর্যন্ত এই অভাগা কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি কারাকক্ষে আটক থাকতে বাধ্য হয়েছেন এবং তাকে কোনও খাদ্য সরবরাহ করা হয়নি। ক্ষুধার তাড়নায় তিনি শেষ পর্যন্ত নিজের মলমুত্র খেয়েছেন বলে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার আর্জিতে অভিযোগ করেছেন নিহত কয়েদির পরিবারের লোকজন।
৫১ বছর বয়সী ল্যারি ইউগিন প্রাইস জুনিয়র ২০২১ সালের আগস্ট মাস থেকে সেবাস্তিয়ান কাউন্টির ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি ছিলেন। মুচলেকার অর্থ দিতে না পারায় তার চিকিৎসা-সুবিধাও বাতিল করা হয়।
নিউজ উইক জানিয়েছে, কারাগারে ভয়াবহ রকমের অমানবিক অবস্থার মধ্য দিয়ে এই আফ্রো-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদী হুমকির অভিযোগে তাকে আটক করা হয় এবং এক বছরের কিছু বেশি সময় ধরে তিনি বিচারের অপেক্ষায় ছিলেন। তবে ল্যারি ইউগিন প্রাইস মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন না।
২০২০ সালের ১৯ আগস্ট একটি রেলস্টেশনে হাতের আঙ্গুল পুলিশের দিকে বন্দুকের মতো তাক করার দায়ে তাকে আটক করা হয়। কিন্তু তার কাছে কোনও সত্যিকারের অস্ত্র ছিল না এবং তিনি পুলিশ কিংবা জনসাধারণের জন্য তাৎক্ষণিক কোনও হুমকিও ছিলেন না। সূত্র: ফক্স নিউজ, ইউএস নিউজ, নিউজ উইক
বিডি প্রতিদিন/কালাম