৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১০:৪৫

ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০ ঘণ্টা পর যমজ সন্তানসহ যেভাবে উদ্ধার হল দম্পতি

অনলাইন ডেস্ক

ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০ ঘণ্টা পর যমজ সন্তানসহ যেভাবে উদ্ধার হল দম্পতি

সংগৃহীত ছবি

স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও প্রতিবেশী সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ঘটনায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তুরস্কে তিন হাজার নিহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। বর্তমানে সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৯১ জনে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

অন্যদিকে, সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দুই হাজার ৯৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৭৩০ জন বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এবং এক হাজার ২৬২ জন সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায়।

দুই দেশের কবলিত এলাকা যেন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধসে পড়া কয়েক হাজার ভবনের নিচে চাপা পড়ে বহু মানুষ। আটকে পড়া অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। দুই দেশেই উদ্ধার কাজ এখনও চলছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

যমজ সন্তানসহ যেভাবে উদ্ধার হল দম্পতি

শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প আঘাত হানার ৪০ ঘণ্টা পর তুরস্কে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দেড় বছর বয়সি যমজ ভাইবোন ও তাদের মা-বাবাকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের বিশেষ অভিযানিক দল উদ্ধার অভিযানের ভিডিও ধারণ করে।

মঙ্গলবার দেশটির গাজিয়ানটেপ প্রদেশ থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, যমজ ছেলে আহমেত এরবেকে প্রথমে উদ্ধারের সময় উদ্ধারকারীরা চিৎকার করে বলছিল- ‘একটি অলৌকিক ঘটনা আসছে’ এবং তারা কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুকে টেনে বের করে মেডিকেল টিমের কাছে পাঠান। পরে এরবের যমজ বোন আমিন এলসিনকেও উদ্ধার করে বাচ্চাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। চলমান উদ্ধার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উদ্ধারকর্মীরা যমজদের মা পিনার এবং বাবা ইব্রাহিম কারাপিরলির কাছে যান। উদ্ধারের পর তাদেরও হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে। সূত্র: আল জাজিরা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর