আলজেরিয়া, মিশর, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্তত ১৯টি দেশ চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ব্রিকস জোটে যুক্ত হতে চায়। ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এরইমধ্যে ডলারের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে। চীনা মুদ্রায় বিনিয়োগও চলছে কিছু দেশের মধ্যে। ফলে বিশ্বজুড়ে ডলারের যে আধিপত্য ছিল তা এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায়আগামী জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্রিকসের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই এমন চাঞ্চল্যকর খবর দিল ব্লুমবার্গ।
ব্রিকসের দক্ষিণ আফ্রিকার দূত অনিল সুকলাল বলেন, আমরা প্রতিদিনই জোটে যুক্ত হওয়ার জন্য বিভিন্ন দেশের অনুরোধ পাচ্ছি। এবারের সম্মেলনে আমরা ব্রিকস বড় করার বিষয়ে আলোচনা করব। কীভাবে এটি সম্ভব হবে তাই হবে আলোচনার বিষয়। তিনি জানান, ১৩টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসে যোগ দেয়ার আবেদন করেছে।
কয়েক মাস আগে ব্রিকস প্রথম জানায়, জোটে নতুন সদস্য নেওয়া হবে।
ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিগুলোর একটি অংশ ডলারের রিজার্ভ রাখা বন্ধ করে দিলে তা যুক্তরাষ্ট্রের সুপারপাওয়ার স্ট্যাটাসের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে ভিন্ন হাওয়া বইছে। ইরান ও সৌদি আরব বহু বছরের দ্বন্দ্ব ভুলে কাছে আসতে শুরু করেছে। আর এতে মধ্যস্ততা করেছে চীন। মধ্যপ্রাচ্য ক্রমশ শান্ত হয়ে আসার ইঙ্গিত মিলেছে নানা দিক থেকে। ফলে সেখানে মার্কিন প্রভাবও কমতে শুরু করেছে। সৌদি আরব চীনা মুদ্রায় বাণিজ্যের পথে হাটছে।
আইএমএফ জানিয়েছে, দেশগুলো এখন আর ডলার রিজার্ভ করতে চায় না। ১৯৯০ এর দশকে বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর রিজার্ভের ৭০ শতাংশই ছিল ডলার। অথচ সেটি এখন ৫৮.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। চীন-রাশিয়া নতুন একটি বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। আর এর প্রথম পদক্ষেপ হতে চলেছে, বিশ্বে ডলারের আধিপত্য ধ্বংস করা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল