রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। কিন্তু এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে এককভাবে কোনও প্রার্থী জয়ী হতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আগামী ২৮ মে প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির বরাতে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৯৭.৯৫ শতাংশ (রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) গণনাকৃত ভোটের ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ পেয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট। তুরস্কের সংবিধান অনুযায়ী, কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে রানঅফ বা দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ হবে। এক্ষেত্রে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। তুরস্কের নির্বাচনও সেই পথে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তা হলে আগামী ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন।
দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তাতে ‘গেম চেঞ্জার’ এর ভূমিকায় থাকবেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওগান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি প্রথম দফা নির্বাচনে পেয়েছেন ৫.২৮ শতাংশ ভোট। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারলেও ট্রাম কার্ড হতে পারেন এই সিনান ওগানই। কেননা, দ্বিতীয় দফায় তিনি যাকে সমর্থন দেবেন তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এরদোয়ানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিচদারোগলুর প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান মাত্র ৪.৩৬ শতাংশ। অন্যদিকে, সিনান ওগান পেয়েছেন ৫.২৮ শতাংশ ভোট। যদি তিনি দ্বিতীয় দফায় বিরোধী কিলিচদারোগলুকে সমর্থন দেন তাহলে তার জয়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
কিন্তু এজন্য একটি শর্ত দিয়েছেন সিনান ওগান। জার্মানির সংবাদমাধ্যম ‘ডের স্পিগেল’কে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “তিনি তখনই কিলিচদারোগলু নেতৃত্বাধীন বিরোধীজোট ‘ন্যাশন অ্যালায়েন্স’কে সমর্থন দেবেন যদি তারা জোটভুক্ত এইচডিপি-কে বাদ দেয়।” সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/কালাম