বিএনপির দুর্গ খ্যাত জেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী কয়েকজন। তাঁরা হলেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সোনারগাঁ উপজেলা সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. রেজাউল করিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. ওয়ালিউর রহমান আপেল। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য প্রিন্সিপাল ড. ইকবাল হোসাইন ভুঁইয়া, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুব সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তুহিন মাহমুদ, খেলাফত মজলিসের সোনারগাঁ উপজেলা সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলনের ফারুক আহমেদ মুন্সী এলাকায় সরব রয়েছেন। বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, ‘আমি সোনারগাঁয়ের প্রতিটি মানুষের সুখ-দুঃখের সাথি হতে চাই। সোনারগাঁকে আধুনিক, শিক্ষিত ও কর্মসংস্থানের শহর হিসেবে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।’ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখে আগেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব ইনশাল্লাহ।’ ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল বলেন, ‘সোনারগাঁবাসী আমাকে ভালোবাসেন। তাই তারা আমাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করতে অপেক্ষায় রয়েছেন।’ জামায়াত নেতা ড. ইকবাল হোসাইন ভুঁইয়া বলেন, ‘সোনারগাঁয়ের সব এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক। আশা করি সোনারগাঁবাসী আমাকে জয়ী করবেন।’
জাতীয় যুবশক্তি নেতা তুহিন মাহমুদ বলেন, ‘বৈঠকের মাধ্যমে ভোটারদের নিয়ে আলোচনা করে যাচ্ছি। সাধারণ মানুষ তরুণ নেতৃত্বে আগ্রহী।’
খেলাফত মজলিস নেতা মাওলানা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সোনারগাঁর মানুষ ইসলামপ্রিয়। বিগত দিনগুলোয় নেতাদের অপকর্মে ও দুর্নীতিতে মানুষ উন্নয়নবঞ্চিত হয়েছে। আমি মানুষের কাছে যাচ্ছি। আমি আশাবাদী।’
অতীতে এ আসনটিতে বিএনপির জয়জয়কার ছিল। আগামী নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থী জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছেন, একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৮৭২ জন। পুরুষ ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৬৯, নারী ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৩ জন। এ আসনটিতে বিএনপি চারবার, জাতীয় পার্টি চারবার ও আওয়ামী লীগ দুবার জয়ী হয়েছে।