চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) নগরের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দ্রুত মেরামতে যুক্ত করেছিল ১২ কোটি টাকার স্বয়ংক্রিয় রোড মেইনটেন্যান্স ট্রাক (পোট হোল পেচার)। সর্বাধুনিক এবং সর্বশেষ এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কম সময়, কম জনবল ও সাশ্রয়ী ব্যয়ে দ্রুত ক্ষতবিক্ষত সড়ক মেরামত করা সম্ভব হতো। প্রায় আড়াই বছর ধরে এটি বন্ধ। অলস পড়ে আছে চসিকের সাগরিকার কারখানায়। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর নগরের সিআরবি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের মাধ্যমে ট্রাকগুলোর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু এর পর আর ব্যবহার করা হয়নি। ব্যবহার না করায় ১২ কোটি টাকাই এখন গচ্চা। চসিকের প্রকৌশল (যান্ত্রিক) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নগরের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং ব্রিজগুলোর উন্নয়নসহ আধুনিক যান যন্ত্রপাতি ও সড়ক আলোকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভেলোসিটি ব্র্যান্ডের চারটি স্বয়ংক্রিয় রোড মেইনটেনেন্স ট্রাক ক্রয় করা হয়েছিল।
জার্মানি থেকে মেশিনের পার্টসগুলো দেশে এনে প্রস্তুত করা হয়। এরপর চসিকের প্রকৌশলী, অপারেটর, চালক ও মেকানিকসহ ৩০ জনকে মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর পর কিছুদিন সড়ক মেরামত করা হলেও পরে ট্রাকগুলো অলস ফেলে রাখা হয় কারখানায়। যন্ত্রাংশগুলো ক্রমশ নষ্ট হওয়ার পথে।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাড়িগুলো নিয়ে আমরাও বিপাকে আছি। ব্যবহার হচ্ছে না। সাগরিকার স্টোরে পড়ে আছে।
চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জসিম উদ্দিন বলেন, দ্রুত সড়ক সংস্কারে চারটি রোড মেইনটেনেন্স ট্রাক আনা হয়েছিল। তবে সেগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে আমরা নতুন করে পরিকল্পনা করব। দেখি কী করা যায়।
জানা যায়, রোড মেইনটেনেন্স ট্রাকটি ছিল আধুনিক। এর মাধ্যমে ছোট-বড় গর্ত এবং সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক কম সময় ও কম জনবল দিয়ে দ্রুত মেরামত করা যেত। দেশে সেনাবাহিনী ছাড়া আর কোনো সংস্থার কাছে এ ট্রাক নেই। এটি দিয়ে সড়ক মেরামত করলে সাহায্যকারী কোনো মেশিন বা যন্ত্রাংশের প্রয়োজন পড়ে না। যেমন- অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট, রোলার, মিক্সিংবাহী ট্রাক ও অতিরিক্ত জনবল। এ মেশিনের মাধ্যমে বর্ষা মৌসুমেও সড়ক মেরামত করা যেত।