এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশ দলের সামনে আজ আরও একটি চ্যালেঞ্জ। বিগত কয়েক ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে যেমন আশার ঝলক দেখা গেছে, তেমনি শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট হারানোর কষ্টও ঘিরে ধরেছে সমর্থকদের। কখনো সহজ গোল মিস, কখনো রক্ষণভাগের ভুল। প্রতিটি ম্যাচ শেষে আফসোসই ছিল একমাত্র সঙ্গী।
তবে আজ সেই আফসোস ঝেড়ে ফেলে নতুন করে ইতিহাস লেখার সুযোগ জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী, শমিত সোমদের সামনে। হংকংয়ের কাই তাক স্পোর্টস পার্কে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ৫০ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ দর্শকের চাপে খেলতে নামলেও বাংলাদেশ দল এখন প্রস্তুত এবং তাদের চোখ তিন পয়েন্টে।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমরা জানি, আমাদের কী করতে হবে। দর্শক থাকুক বা না থাকুক, মাঠে আমরা শুধু জয়ের জন্যই নামব। ৩ পয়েন্ট ছাড়া কিছুই ভাবছি না।’
বাংলাদেশের বড় চিন্তার জায়গা আক্রমণভাগ। স্ট্রাইকার সংকট আজও ভাবাচ্ছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। আগের ম্যাচে রাকিব হোসেনকে স্ট্রাইকার হিসেবে খেলিয়ে সুযোগ সৃষ্টি করলেও গোল আদায় করা যায়নি। এবার তাই আক্রমণে নজর দিতে হবে শমিত সোম, হামজা চৌধুরী, জায়ান আহমেদ ও ফাহমিদুল ইসলামের মতো মিডফিল্ডারদের। গোল করতে না পারলে হংকংয়ের মাটিতে চমক দেখানো কঠিনই হবে।
গত ম্যাচে ৪ গোল হজম করার পর রক্ষণভাগে কাটাছেঁড়া করতে পারেন কোচ কাবরেরা। তারিক কাজী ও তপু বর্মণকে শুরু থেকেই মাঠে দেখা যেতে পারে। হংকংয়ের আগ্রাসী ফুটবলের সামনে রক্ষণে দুর্বলতা মানেই বড় বিপদ।
হংকংয়ের শক্তি তাদের বিদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলাররাই। সর্বশেষ ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা ফরাসি উইঙ্গার রাফায়েল মেরকিস এবং ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড এভারটন কামারগো আবারও হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন বাংলাদেশের জন্য। বিশেষ করে মেরকিসের গতি, পাসিং আর বল দখলের দক্ষতা সামলানো সহজ হবে না। কামারগোর গতিময় ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী খেলার ধরনও রক্ষণভাগের বড় পরীক্ষা নেবে।
‘সি’ গ্রুপে তিন ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। শীর্ষে থাকা হংকংয়ের পয়েন্ট ৭। ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সিঙ্গাপুর, আর ২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ভারত। কাগজে-কলমে এখনো বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে, তবে বাকি তিন ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো পথ নেই।
এই ম্যাচের পর ১৮ নভেম্বর ঢাকায় ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ, আর ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলবে জামালরা।
হংকংয়ের বিপক্ষে এর আগে পাঁচ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে চারটিতে, একটি ম্যাচ হয়েছে ড্র। তাই আজকের জয় শুধু তিন পয়েন্টই নয়, অতীতের রেকর্ড ভাঙার চ্যালেঞ্জও।
বিডি প্রতিদিন/মুসা