বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রত্যাশার চেয়ে গতিশীল ছিল থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। বেসরকারি খাতে কার্যক্রম বৃদ্ধি ও পর্যটন শিল্পের প্রসার সহায়তা করেছে দেশটির অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে জিডিপিতে।
সম্প্রতি ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এনইএসডিসি) থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
থাইল্যান্ডের বিরোধী দল সম্প্রতি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। ফলে নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষা করছে দেশটি। ঘোষিত হবে বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা। চীনের অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর গতি পায় চাহিদা। পর্যটন খাতের এ পুনরুদ্ধারের ঘটনা রফতানি কমে যাওয়ার ক্ষত অনেকাংশেই পূরণ করবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশটিতে জানুয়ারি-মার্চে বছরওয়ারি প্রবৃ্দ্ধি ঘটেছে ২ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রান্তিক ভিত্তিতে জিডিপি বেড়েছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। যেখানে প্রাক্কলিত জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৭ শতাংশ। অবশ্য ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় জিডিপি ১ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
এর আগে রয়টার্সে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অর্থনীতি বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করেছিলেন, বছরওয়ারি জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে জিডিপি বৃদ্ধি ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। এনইএসডিসি ২০২৩ সালের জিডিপি বৃদ্ধির প্রাক্কলন ২ দশমিক ৭ থেকে ৩ দশমিক ৭ শতাংশের মধ্যে রেখেছে, যেখানে বৃদ্ধি ছিল ২ দশমিক ৬ শতাংশ। সূত্র: রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কালাম