আজ শনিবার (২৮ মে) তুরস্কে ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৪ মে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু প্রধান দুই প্রার্থী বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এবং প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা কামাল কিলিচদারোগলুর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় আজ দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল আটটায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা) ভোটগ্রহণ শুরু হবে। দুই দশকের বেশি সময় যাবত তুরস্ক শাসন করা এরদোয়ান প্রথমবারের মতো রানঅফ ভোটে মুখোমুখি হচ্ছেন।
খবর অনুসারে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে নির্বাচনী উত্তাপ তুলনামূলক কম।
৪৯ বছর বয়সী সোনার উগুরলু নামে একজন বলেন, ‘অদ্ভুত অনুভূতি। আমার মনে হচ্ছে নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে। অথচ আরেক দফা ভোট আজ।’ তিনি বলেন, অবশ্যই আমি আবার ভোট দেব, তবে বিষয়টি অদ্ভুত লাগছে। কারণ দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় সবকিছু অনেক শান্ত লাগছে।
তুরস্কের ভোটারদের অনেকে মনে করছেন, দ্বিতীয় দফায় বিজয়ী হবেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে তার ২০ বছরের শাসনকাল আরও ৫ বছর বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
প্রথম দফার ভোটে এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু পান প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট। এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম রাউন্ডেই জিতেছিলেন এরদোয়ান।
ইস্তাম্বুলের চিহানগির এলাকার একটি কাপড়ের দোকানের স্বত্বাধিকারী ওলজাই বলেন, ১৪ মের (প্রথম দফা ভোটের দিন) আগে আমি খুবই আশাবাদী ছিলাম। মনে হচ্ছিল আমরা তার (রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান) হাত থেকে অবশেষে মুক্তি পাব, তবে এখন মনে হচ্ছে তাকে হারানো যাবে না। ৩৪ বছর বয়সী এ ব্যক্তি বলেন, ‘ফের আগের মতো উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেওয়া কঠিন। কারণ, মনে হচ্ছে বিষয়টির সুরাহা হয়ে গেছে, তবে অবশ্যই আমি (ভোট) দেব। কারণ এটা আমার দায়িত্ব।’
১৪ মে’র ভোটের দৌড়ে জনমত জরিপগুলো কিলিচদারোগলুকে এগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এরদোয়ান প্রত্যাশার চেয়ে ভালো করেছেন এবং এখন জয়ের জন্য গতি পেয়েছেন।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল