আজ বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) ভেঙে দেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
এ সময় শেহবাজ শরিফ বলেন, “৯ আগস্ট আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। আমি প্রেসিডেন্টের কাছে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করব। এরপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেবে।”
এর আগে শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর সংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির সভাপতি ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বছরের সাজা হওয়ায় পাকিস্তানের নির্বাচন আইন ২১৭-এর ১৬৭ ধারার অধীনে নির্বাচন করার যোগ্যতা হারিয়েছেন ইমরান খান। ফলে নির্বাচন আইন ২০১৭-এর ২৩২ ধারার সঙ্গে পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩ (১) (এইচ) ধারার অধীনেও নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য হয়েছেন তিনি।
সেইসঙ্গে দেশটির সংসদের-৪৫ কুররাম-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্যের পদ থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
এদিকে আজ শেষ হতে যাচ্ছে দেশটির পার্লামেন্টের মেয়াদ। ফলে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।
উল্লেখ্য, গত শনিবার পাকিস্তানের বহুল আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। সেইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশ ভ্রমণের সময় তিনি বিভিন্ন রাষ্ট্র ও বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে পাওয়া ১৪ কোটি পাকিস্তানি রুপি মূল্যের উপহার সামগ্রী বিক্রি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী হয়েও রাষ্ট্রীয় কোষাগারের সম্পদ বিক্রি করে তিনি তার পদের অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। সূত্র: ডন
বিডি প্রতিদিন/কালাম