১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ১১:৩৫

নওয়াজ-বিলাওয়ালের সঙ্গে জোট নয়, প্রয়োজনে বিরোধী আসনে বসবে পিটিআই

অনলাইন ডেস্ক

নওয়াজ-বিলাওয়ালের সঙ্গে জোট নয়, প্রয়োজনে বিরোধী আসনে বসবে পিটিআই

পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান (ফাইল ছবি)

নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) অথবা আসিফ আলি জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে কোনওভাবে জোট করে সরকার গঠন করবে না বলে জানিয়েছে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই)। প্রয়োজনে তারা বিরোধী দলে থাকার সুযোগকেই বেছে নেবে। 

দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান গওহর আলি খান এসব কথা জানিয়েছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন নিউজ’কে তিনি বলেন, নির্বাচনে জালিয়াতির জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের পদত্যাগ দাবি করা উচিত। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংরক্ষিত আসনের অভাবে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সরকার গঠনের সুযোগ তাদের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। এটা অনুধাবন করতে পেরেছে পিটিআই। দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় তারা সংরক্ষিত আসন দাবি করতে পারছে না। এ জন্য পিটিআই নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা কোনও মিত্রের সঙ্গে যোগ দেবে অথবা অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে যাবে। এরপর তারা সুবিধা দাবি করবে।

গওহর আলি খান বলেছেন, এর প্রেক্ষিতে তারা বিভিন্ন বিকল্প পন্থা খুঁজে পেতে চেষ্টা করছেন। তবে জোট গঠনের জন্য তারা পিএমএলএন বা পিপিপির সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত হবেন না।

তিনি বলেন, এই দুটি দলের সঙ্গে আমরা স্বস্তি বোধ করি না। তাদের কারও সঙ্গে সরকার গঠনের আলোচনা বা একসঙ্গে সরকারে থাকার আলোচনাই হবে না। তাদের সঙ্গে সরকারে থাকার চেয়ে বিরোধী আসনে বসা অনেক ভাল। আমরা মনে করি আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। তিনি আরও বলেছেন, যদি তাদের ম্যান্ডেটকে মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে তার দল শক্তিশালী একটি বিরোধী অবস্থান সৃষ্টি করবে। যেকোনও পরিষদে সরকার গঠনের জন্য পিটিআই সংরক্ষিত আসন পেতে পারে। যদিও তারা সরাসরি নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক পদে নির্বাচিত হয়েছে, কিন্তু তাদের মর্যাদা হল স্বতন্ত্র, এই জন্য সংখ্যালঘু এবং নারীদের জন্য যে সংরক্ষিত আসন রাখা আছে- তারা তা দাবি করতে পারবে না।

পিএমএলএন এবং পিপিপির সঙ্গে জোট গঠনের সম্ভাব্যতাকে উড়িয়ে দেওয়ার ফলে পিটিআই এখন অন্য কোনও দলের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে একটি অপশন হতে পারে জামায়াতে ইসলামী। খাইবার পখতুনখাওয়া প্রাদেশিক পরিষদে জামায়াত পেয়েছে তিনটি আসন। এই দুটি দলের খাইবার পখতুনখাওয়ায় একসঙ্গে মিত্র হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। তারা ২০১৩ সালে সেখানে জোট করে ক্ষমতায় গিয়েছিল। ২০১৮ সালের মে মাসে সেখানকার প্রাদেশিক পরিষদের মেয়াদ শেষের দিকে এসে সেই অংশীদারিত্ব ভেঙে যায়। এছাড়া পিটিআইয়ের অন্য অপশনগুলো হল- মজলিশে ওয়াহদাতুল মুসলিমিন। সূত্র: ডন নিউজ

বিডি প্রতিদিনি/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর