সাগরপথে ত্রাণসহায়তা পাঠাতে ফিলিস্তিনের গাজার উপকূলে বন্দর নির্মাণে করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
প্যালেস্টাইন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মোহাম্মদ আল-মাসরি বলেন, ফিলিস্তিনিরা মানবিক সহায়তার জন্য গাজা বন্দর প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু এটি তাদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতামূলক নীতি সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে না।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সিরিয়াস হতো, তাহলে তারা স্থল ক্রসিংগুলো খুলে দিতে এবং সেখানে ত্রাণ ও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি হামলা বন্ধ করতে ইসরায়েলকে চাপ দিত।
আল-মাসরি আল জাজিরাকে বলেন, আমরা বাইডেনকে যুদ্ধ বন্ধ বা এমনকি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে শুনিনি। ফিলিস্তিনিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাইডেন ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছেন, কারণ তিনি চলমান যুদ্ধের অংশীদার। যে বিষয়টি তাকে এই বন্দর প্রতিষ্ঠা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে তা হলো মার্কিন ভোটারদের মধ্যে তার অনিশ্চিত পরিস্থিতি এবং জনমত জরিপে দেখা গেছে যে তিনি সংখ্যালঘুদের সাথে নড়বড়ে অবস্থানে রয়েছেন।
আল-মাসরি আরও বলেন, বন্দর প্রতিষ্ঠার বিষয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তরও প্রয়োজন।
যদি ইসরায়েল রাফা আক্রমণ করে এবং সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে কি এই বন্দরটি ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠবে? বন্দরে পাঠানো মানবিক সহায়তার নিরাপত্তা কে দেবে এবং প্রকৃত বিতরণ কে করবে? এত বড় ত্রাণ তৎপরতা কে চালাবে?
আল-মাসরি উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী এর আগে গাজায় ত্রাণ বিতরণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করার সময় পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল। আর তারা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ভূমিকা রাখতে দেবে না, তাহলে কে করবে?
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল