'উই ব্রিং আউট দ্য বেস্ট ইন ইউ' স্লোগান নিয়ে ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ রাজধানীর মুগদার গ্রীন মডেল টাউনে নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাসে সীমিত পরিসরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। সবুজ পরিবেশে নির্মিত এই আধুনিক ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে যুগোপযোগী ও গবেষণাভিত্তিক সকল সুবিধা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ড. এম এ হান্নান ফিরোজ ও মিসেস ফাতিনাজ ফিরোজ। বর্তমানে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন ড. ফারাহনাজ ফিরোজ এবং উপাচার্যের দায়িত্বে রয়েছেন প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি ৫টি অনুষদের অধীনে ১৪টি বিভাগে ২৯টি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু করেছে। রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ব্যবসায় শিক্ষা, আইন, পরিবেশ বিজ্ঞান, জার্নালিজম, ফার্মেসি ও মাইক্রোবায়োলজি সহ আধুনিক চাহিদাসম্পন্ন বিভিন্ন বিষয়। চালু হচ্ছে থিয়েটার স্টাডিজ ও বায়োটেকনোলজির মতো ইউজিসি অনুমোদিত নতুন প্রোগ্রামও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ২৭ জন পিএইচ.ডি-ধারীসহ ২০৫ জন পূর্ণকালীন শিক্ষক। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, মালয়েশিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রায় ৩০জন শিক্ষক খন্ডকালীন পাঠদান করেন।
গবেষণার জন্য রয়েছে পৃথক রিসার্চ সেন্টার, ৩৭টি আধুনিক ল্যাব, ৫টি লাইব্রেরি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে বিনিময় চুক্তি।
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রাঙ্কিং ২০২৫ অনুযায়ী স্টামফোর্ড বাংলাদেশের মধ্যে ১৪তম এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এলসভিয়ের-স্কোপাস সাইটেশন জরিপে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে।
এ পর্যন্ত এখান থেকে ৩৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী ডিগ্রি অর্জন করে দেশ-বিদেশে নিজেদের মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।
বিডি প্রতিদিন/মুসা