গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে।
গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেছেন, হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত লোকের বাসস্থান মুস্তাফা হাফিজ স্কুল ভবনের দ্বিতীয় তলায় একটি ইসরায়েলি বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়। শিশুসহ নিহতদের মৃতদেহ ভবন থেকে বের করে আনা হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া স্কুলে লুকিয়ে থাকা হামাস যোদ্ধারা লক্ষ্যবস্তু করেছিল।
ইসরায়েলের বাহিনী বারবার গাজার নাগরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের সময় বাস্তুচ্যুত মানুষদের আবাসন। প্রায়শই তারা আন্তর্জাতিক সমালোচনা এড়াতে প্রমাণ ছাড়াই দাবি করে ওই খানে আশ্রয় নেয়ারা হামাসের সাথে যুক্ত।
চলতি মাসের শুরু থেকে গাজা জুড়ে স্কুল লক্ষ্য করে কমপক্ষে ১০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে প্রায় ১৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
১০ আগস্ট গাজা শহরের আল-তাবিয়ীন স্কুলে হামলাটি ছিল এই মাসে স্কুলে চালানো ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা। অন্তত ১০০জন নিহত হয়েছেন। যারা ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
তিনটি মার্কিন বোমা ব্যবহার করে সেই হামলা চালানো হয়। যার কয়েকটির ওজন প্রায় দুই হাজার পাউন্ড।
এমন বিধ্বংসী হামলা আন্তর্জাতিক নিন্দা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। এরপর ইসরায়েল দাবি করে, হামলাস্থলে গাজার প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা লুকিয়ে ছিল। জেনেভা-ভিত্তিক ইউরো-মেডিটারেনিয়ান হিউম্যান রাইটস মনিটর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবিকে অস্বীকার করে বলেছে যে তার তদন্তে দেখা গেছে যে স্কুলে কোনও সামরিক সমাবেশ বা কেন্দ্র ছিল না এবং এটি কখনও কোনও সামরিক উদ্দেশ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল