আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এমন পরিস্থিতিদেত গত বুধবার উইসকনসিনে নির্বাচনী সমাবেশে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ছিলেন রেমি উলফ, গ্রেসি আব্রামস, মামফোর্ড অ্যান্ড সন্সের মতো সেলিব্রিটি। এসব আয়োজন করা হয়েছে মূলত জেন–জি ভোটারদের লক্ষ্য করে।
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের ভেতর যাদের জন্ম, তারাই হলো জেন-জি বা জেনারেশন জেড। বর্তমানে এই প্রজন্মের সদস্যদের বয়স ১২ থেকে ২৭ বছর। যুক্তরাষ্ট্রে ভোটার হতে গেলে সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হয়। কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্পের প্রচারশিবিরের লক্ষ্য এবার জেন–জি প্রজন্মকে কাছে টানা।
কমলার প্রচারশিবিরের পক্ষ থেকে জেন–জি প্রজন্মকে কাছে টানতে নানা কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তাঁদের মধ্যে ভোটের প্রচারের দায়িত্ব থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে সমন্বয় করার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। জেন–জির ওপর আস্থা রাখা এমন একটি অঙ্গরাজ্য হচ্ছে উইসকনসিন।
কমলার প্রচারশিবির থেকে জানানো হয়েছে, উইসকনসিনে সাতজনকে ক্যাম্পাস সংগঠক ও তরুণ সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ব্যাপক করতালির মধ্যে প্রথমবারের মতো ভোটার হওয়া উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী টাই স্ক্যানহফার সামনে আসেন। তিনি কমলা হ্যারিসকে জেন–জি প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের দ্রুত ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান।
কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমি তোমাদের প্রজন্মকে ভালোবাসি।’ কমলা হ্যারিস তাঁর নির্বাচনী প্রচারে তরুণ প্রজন্মকে পরিবর্তনের জন্য ধৈর্যচ্যুতি দেখানোর বিষয়টিকে সঠিক বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের শক্তি দেখেছি। আমি তোমাদের নিয়ে গর্বিত।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর চার দিন। ৪০টির মতো অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোট গ্রহণ চলছে। এর আগেই ৫ কোটি ৭৫ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকশন ল্যাব এ তথ্য জানিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ