ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা এখনও কাটেনি। লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ’ এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় নানা ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ন্যাটো জোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্য দেশগুলো তাদের সামরিক ব্যয় ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ৫০% বৃদ্ধি করেছে। রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফলে এই ব্যয় বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ইউরোপ নিজস্ব সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে এগোচ্ছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর তারা নির্ভরশীল।
এছাড়া ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যরা তাদের নিজস্ব সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়াচ্ছে। বর্তমানে ইউরোপীয় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিরক্ষা ব্যয়ের প্রায় অর্ধেক অংশ ইউরোপে তৈরি সামরিক সরঞ্জামে খরচ করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৩৪% ব্যয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত সামরিক সরঞ্জামে ব্যয় হচ্ছে। সূত্র : বিবিসি
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল