নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পৃথক হামলায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি এমন একটি অঞ্চলে সর্বশেষ অভিযান। অঞ্চলটিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেওে পশুপালক এবং কৃষকদের মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বেনু রাজ্যের গোয়ার পশ্চিম স্থানীয় সরকার এলাকার চেয়ারম্যান অরমিন তোরসার ভিক্টর এএফপি’কে বলেছেন, শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে তিনটি গ্রামে এই হামলা চালানো হয়েছে।
তিনি এএফপি’কে টেলিফোনে আরো বলেছেন, ‘রোববার আওনদানা গ্রামে কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে।’
এছাড়া অন্য একটি গ্রামে আরো ১০ জনেরও বেশি মারা গেছেন।
আওনডোনার বাসিন্দা রুথি ড্যান স্যাম এএফপি’কে বলেছেন, ‘এখানে আওনডোনায় ২০ জন নিহত হয়েছে।’
তিনি বলেছেন, ‘এই গ্রামে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদেরও হত্যা করা হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ দৃশ্য হল একটি শিশুর মুখে ছুরি দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।’
তিনি আরো বলেছেন, পার্শ্ববর্তী গ্রামে আরো অনেকে নিহত হয়েছে, কিন্তু তার কাছে কোনো এর হিসেব নেই।
ভিক্টর বলেছেন, তিনি এবং অন্যান্য স্থানীয়রা ‘একটি সামরিক ঘাঁটির খুব কাছে’ তেওয়া বিয়ানা গ্রামে নিহত এক
বাবা এবং তার দুই ছেলেসহ পাঁচজনকে কবর দিয়েছেন। বেনু রাজ্য পুলিশের মুখপাত্র আনেন সেউয়েস ক্যাথেরিন এলাকায় দুটি হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, তার অফিস ‘২০ জনের নিহত হওয়ার কোনো খবর’ পায়নি।
তিনি বলেছেন, একটি অভিযানে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। ওই পুলিশ সদস্য ‘একটি আক্রমণ প্রতিহত করেছেন’ এবং ‘তিনটি মরদেহ পাওয়া গেছে’।
কী কারণে এই সহিংস ঘটনা ঘটেছে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারেনি। তিবে ভিক্টর ফুলানি গবাদি পশুপালকদের ওপর ‘সমন্বিত আক্রমণ’ এর জন্য দায়ী করেছেন।
জমি এবং সম্পদের ওপর অধিকার নিয়ে বেনুতে মুসলিম জাতিগত ফুলানি যাযাবর পশু পালকরা দীর্ঘদিন ধরে বসতি স্থাপনকারী কৃষকদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে, যাদের অনেকেই খ্রিস্টান।
নাইজেরিয়ার তথাকথিত মিডল বেল্টে আক্রমণগুলো প্রায়শই ধর্মীয় বা জাতিগত কারণে হয়ে থাকে। যাযাবর পশুপালক এবং কৃষকদের মধ্যে এই ধরণের সহিংসতার ফলে বেনু রাজ্যগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা পশুপালকদের তাদের গবাদি পশু চরানোর মাধ্যমে কৃষিজমি ধ্বংস করার জন্য দায়ী করে আসছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম