সীমান্তে চলমান উত্তেজনা নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত রূপরেখার আংশিক লক্ষ্যসমূহে সম্মতি জানিয়েছে লেবাননের মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার বৈরুতে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া পরিকল্পনার আওতায় হিজবুল্লাহসহ সব সশস্ত্র অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীকে নিরস্ত্র করা, ইসরায়েলি সামরিক অভিযান বন্ধ এবং পাঁচটি পয়েন্ট থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব রয়েছে। তবে পুরো পরিকল্পনার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম জানান, সরকারের এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো— শুধু রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অধীনে অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ সীমাবদ্ধ রাখা। মন্ত্রিসভার আলোচনায় এই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুমোদন পেয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে হিজবুল্লাহ। সংগঠনটির রাজনৈতিক পরিষদের উপ-প্রধান মাহমুদ কোমাতি একে ‘লজ্জাজনক’ ও ‘আত্মসমর্পণের’ সামিল বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “শত্রু যখন এখনো আমাদের ভূমি দখল করে রেখেছে, তখন প্রতিরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া কোনো রাষ্ট্রের উচিত নয়।”
প্রস্তাবিত রূপরেখায় হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পাশাপাশি লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সেনাবাহিনীর স্থায়ী মোতায়েন, বন্দি বিনিময়ের জন্য পরোক্ষ আলোচনা কাঠামো এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমারেখা নির্ধারণের কথাও উল্লেখ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে অঞ্চলটিতে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
তবে মন্ত্রিসভার বৈঠক বর্জন করেছে হিজবুল্লাহ ও তাদের রাজনৈতিক মিত্র আমাল মুভমেন্টের মন্ত্রীরা। তারা যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগকে ইসরায়েলের পক্ষে ‘একতরফা নিরস্ত্রীকরণের প্রস্তাব’ হিসেবে অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
এদিকে, লেবাননের সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে অস্ত্র রাখার প্রতিশ্রুতি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
বিডি-প্রতিদিন/শআ