মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ টক রেডিও অনুষ্ঠান দ্য টড স্টার্নস শো–তে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি বলব, দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা স্পষ্ট ধারণা পাবো—হবে কি হবে না। এরপর হয়তো আমাদের ভিন্ন পথে ভাবতে হতে পারে। তবে খুব শিগগিরই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।”
কূটনৈতিক তৎপরতা:
ট্রাম্পের এই সময়সীমা ঘোষণার পেছনে রয়েছে কয়েক দফা উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক উদ্যোগ। সম্প্রতি আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এর পর হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এ ছাড়া পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। এর পর নিজেকে যুক্ত করে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের চেষ্টা করবেন তিনি। এর আগে জেলেনস্কিকে আলোচনায় "নমনীয়তা" দেখাতে আহ্বান জানান ট্রাম্প এবং স্পষ্ট করে দেন, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ তিনি মেনে নেবেন না।
অন্যদিকে, কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে স্থলবাহিনী পাঠাতে প্রস্তুতি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির কাঠামোর অংশ হিসেবে বিমান সহায়তা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ অবশ্য সতর্ক করেছেন, শান্তিরক্ষী বাহিনী হিসেবে কোনো ন্যাটো সেনা মেনে নেবে না মস্কো। এমনকি এ ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তাও তারা গ্রহণ করবে না। সূত্র: আনাদোলু
বিডি প্রতিদিন/নাজিম