মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য ছয় লাখ ভিসা ইস্যুর সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন, যদিও এ নিয়ে তার সমর্থক গোষ্ঠীর একাংশ তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
রবিবার ডানপন্থী সংবাদমাধ্যম ডেইলি কলার-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, কোনো দেশের শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করা অত্যন্ত অপমানজনক। ছোট ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই শিক্ষার্থীদের কারণে টিকে থাকে।
এর আগে তার প্রশাসন কড়া অবস্থান নিলেও চলমান বাণিজ্য আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট নরম সুরে কথা বলেছেন।
এ সিদ্ধান্তে বিভ্রান্তি প্রকাশ করেছেন ট্রাম্পের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ শিবিরের অনেক নেতা। জনপ্রিয় টিভি সঞ্চালক লরা ইনগ্রাহাম বলেন, আমি জীবনে বুঝতে পারছি না—৬ লাখ আসন মানে তো ৬ লাখ আমেরিকান শিক্ষার্থী সুযোগ হারাচ্ছে।
আরেক মিত্র, লরা লুমার, এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, কেউ চায় না যে আরও ৬ লাখ চীনা ‘শিক্ষার্থী’, অর্থাৎ কমিউনিস্ট গুপ্তচর, যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়ুক।
ট্রাম্প পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, এসব শিক্ষার্থী মার্কিন অর্থনীতিতে বিপুল অর্থ নিয়ে আসে এবং শিক্ষার্থী ভিসা বন্ধ করলে দুই দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট শি'র সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখি। চীনের মতো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানো অবমাননাকর।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছিলেন, যেসব চীনা শিক্ষার্থীর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিংবা কৌশলগত বিষয়ে পড়াশোনা করছে, তাদের ভিসা ‘আক্রমণাত্মকভাবে’ বাতিল করা হবে।
বর্তমানে ওয়াশিংটন-বেইজিং বাণিজ্যযুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী দুই বছরে চীনা শিক্ষার্থীদের এই ভিসা প্রদান করা হবে—যা আগের বছরের সংখ্যার সঙ্গেই সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ট্রাম্প বলেন, এর বিনিময়ে কোনো প্রতিদান তিনি আশা করছেন না। আমি শুধু মনে করি এটা সঠিক কাজ। দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা খারাপ কিছু নয়, বিশেষ করে যখন সেটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল