মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে শুরু হয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশের আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের ৪৭তম সম্মেলন। এতে অংশগ্রহণ করছে ১১ সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা। তবে সদস্য দেশ না হয়েও 'আসিয়ান পার্টনার দেশ' বা 'ডায়ালগ পার্টনার' হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এটাই তার প্রথম সফর। দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে 'ঝড়' বইয়ে দিয়েছেন তিনি। স্বভাবতই এসব বিষয় ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কি হতে পারে সে দিকে নজর সবার।
রবিবার আসিয়ান সম্মেলনে আলোচনার প্রধান বিষয় থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি ও বিরল খনিজের সরবরাহে প্রবেশাধিকার। এ ছাড়া থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সভাপতিত্ব করবেন। সফরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও পরিদর্শন করবেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে।
আজকের প্রধান আলোচ্য ঘটনা অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের বাইরে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া ট্রাম্প ও আনোয়ারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, ২২তম আসিয়ান–ভারত সম্মেলন এবং আসিয়ানের শূন্য-নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আসিয়ানে নতুন সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে পূর্ব তিমুর। তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।
সূত্র: আল-জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/মনজুর