রেলওয়ের ২০ ক্যাটাগরিতে প্রায় দেড় হাজার পোষ্য, সাধারণ ও মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন কোটার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্যাডে লিখিত সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তদবির চলছে নিয়োগ চূড়ান্তের প্রক্রিয়াধীন খালাসি পদেও। ইতিমধ্যে তাদের সুপারিশ করা প্রায় ১ হাজার লোকের চাকরিও চূড়ান্ত হয়েছে। এসব নিয়োগে রেল শ্রমিক সংগঠনের অবসরপ্রাপ্ত নেতারা সুকৌশলে কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের দেওয়া তালিকামতো চাকরি নিশ্চিত করতে আন্দোলনের নামে কৌশলে রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বাধ্য করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এদিকে নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়ম রোধে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কোনো শ্রমিক সংগঠনের নেতার নামে কোনো অনিয়ম বা বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার শতভাগ কাজ শেষ হচ্ছে। এতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজও একই প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন বা চলমান রয়েছে বলে জানান রেলপথ মন্ত্রী।
রেল শ্রমিক লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির (অবসরপ্রাপ্ত), রেল শ্রমিক দল সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ (অবসরপ্রাপ্ত) চিহ্নিত সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীরা কৌশলে আন্দোলনের নামে নিয়োগ বাণিজ্য করেছন বলে দাবি করেন রেলওয়ে সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়কারী মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন, চিহ্নিত কিছু লোকের কারণে রেলের আজকের এ অবস্থা। সুষ্ঠু তদন্ত করলেই নিয়োগ বাণিজ্য ও অনিয়মের নেপথ্যে জড়িতরা বের হয়ে আসবেন। রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক ও রেলওয়ে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি রেলের অনিয়ম-দুর্নীতি ঠেকাতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন।
অভিযোগে জানা যায়, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আখন্দ, সহ-সভাপতি অরুণকুমার দাশ, রাখাল চন্দ্র দাশ, দফতর সম্পাদক আবদুল মতিন, রেলওয়ে শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, কার্যকরী সভাপতি পেয়ার মুহাম্মদসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিকনেতা নিয়োগ বাণিজ্য ও আন্দোলনের নামে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির হুমকি নিয়মিতই দিয়ে আসছেন। নিয়োগ কমিটিকে চাপ দিয়ে পোষ্য ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি বাগিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পোষ্য কোটায় ওয়েম্যানসহ বিভিন্ন পদে শ্রমিকদের নিয়মতান্ত্রিকভাবে চাকরি দেওয়া হয়নি। শ্রমিক লীগের দেওয়া সুপারিশের তালিকার চেয়ে অনেক কম লোক নেওয়া হয়েছে। সে কারণে শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা কিছুটা ক্ষুব্ধ থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে আমি বা আমার সংগঠনের কেউ কোনো নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নন।
শিরোনাম
- গাইবান্ধা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর
- ৩০ নভেম্বর থেকে ফের কর্মবিরতির ঘোষণা প্রাথমিকের শিক্ষকদের
- ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
- মেট্রোরেলের ট্র্যাক থেকে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার
- ‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
- ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার গভীর শোক
- ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে
- মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
- কাল ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
- ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
- শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
- লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
- আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
- ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
রেলের নিয়োগ বাণিজ্যের নেপথ্যে
কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা
সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর