পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত বছর ভারতের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষে নিজেদের চার সেনাসদস্য নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে চীন। সংঘর্ষের আট মাস পর চীন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা স্বীকার করল। চীনা সেনাবাহিনীর অফিশিয়াল সংবাদপত্র ‘পিএলএ ডেইলি’ গতকাল জানায়, যে চার সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। ‘পিএলএ ডেইলি’র বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রপরিচালিত গণমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ জানায়, নিহত সেনাসদস্যের মধ্যে কর্মকর্তা ও সৈনিক রয়েছেন। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সূত্রে খবর, ‘দেশের সীমানা রক্ষায়’ সাহসিকতার পরিচয় দেওয়ার জন্য তাঁকে ‘হিরো রেজিমেন্টাল কমান্ডার’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। নিহত চেন জিয়াংগ্রনগ, জিয়াউ সিইউয়ান ও ওয়াং ঝউরানকেও ‘ফার্স্ট ক্লাস মেরিট’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে লালফৌজ। এর আগে মৃত সৈনিকদের নাম প্রকাশ না করায় দেশেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শি জিনপিং প্রশাসনকে। তাই চাপের মুখেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। গত বছর থেকেই উত্তপ্ত লাদাখ সীমান্ত। কার্যত যুদ্ধের দোরগোড়ায় পৌঁছে যায় দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় দু’দেশের সেনা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। ভারতের ২০ জন সেনা তাতে নিহত হলেও, মোট কতজন চীনা সৈন্য ওই ঘটনায় হতাহত হয়েছিলেন? তা কখনওই প্রকাশ করেনি বেইজিং। কিন্তু কয়েকদিন আগেই রাশিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করে, গালওয়ান সংঘর্ষে ৪৫ জন চীনা সৈন্য নিহত হয়।
এই দাবিকে সমর্থন করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।