বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বিজেপির নবান্ন চলো কর্মসূচি ঘিরে কলকাতায় তুলকালাম

কলকাতা প্রতিনিধি

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি ঘিরে গতকাল বিজেপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কলকাতা ও হাওড়ায় পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় রাজ্য বিজেপির নেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ চার নেতাকে আটক করে পুলিশ। দুর্নীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ওই কর্মসূচি দিয়েছিল বিজেপি। তবে পুলিশের তরফ থেকে এই অভিযানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারপরেও কর্মসূচি শুরু করে বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। তাতেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, গতকাল দুপুরে কলকাতা শহরের তিন দিক কলেজ স্কয়ার, সাঁতরাগাছি ও হাওড়া ময়দান থেকে তিনটি মিছিল বেরোনোর প্রস্তুতি নেয় দলটির নেতারা। সাতরাগাছিতে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, হাওড়া ময়দানের মিছিলের নেতৃত্বে সুকান্ত মজুমদার এবং কলেজ স্কোয়ারের নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তার আগেই বিজেপির সেই মিছিলগুলোকে আটকে দেয় পুলিশ।

এদিন সাড়ে ১২টা নাগাদ হুগলি সেতুর মুখে পুলিশের সঙ্গে বিজেপির বিধায়ক ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মহিলা নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহাসহ বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।

এ সময় লকেটের প্রশ্ন ছিল ‘এত কিসের ভয়?’ এরপরই তিন শীর্ষ নেতাকে আটক করে পুলিশ এবং প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সাঁতরাগাছিতে বিজেপির মিছিল নবান্নের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর মুখেই আটকে দেওয়ার পরেই রণক্ষেত্র চেহারা নয়। ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপির কর্মীরা সামনের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে। এ সময় দুপক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়।

হাওড়া ময়দানেও পুলিশের তরফে বিজেপির মিছিল আটকে দেওয়ার পরেই রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, নারী বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালসহ দলের কর্মী, সমর্থকরা। এরপরই পুলিশের একটি দল সুকান্ত মজুমদারকে আটক করে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। কলেজ স্ট্রিটেও বিজেপির মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। যে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে নবান্নকে ঘিরে ১৪৪ ধারা জারি করা করে রাজ্য সরকার।

সর্বশেষ খবর