বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মমির তরুণী যেমন ছিলেন

মমির তরুণী যেমন ছিলেন

মিসর দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বজুড়ে প্রত্নতাত্ত্বিকদের কৌতূহলের উৎস, বিশেষ করে মৃতদের ভালোভাবে সংরক্ষিত মমিগুলোর জন্য। প্রাচীন সমাধিগুলো সময়ে সময়ে প্রকাশ হচ্ছে। প্রযুক্তি এখন ওইসব মৃতের মুখের গঠন দেখাতে সক্ষম করেছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এখন একটি মমির মুখ তৈরি করতে পেরেছেন, যিনি রহস্যময় নারী হিসেবে পরিচিত। রহস্যময়ী ওই নারী মৃত্যুর সময় অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এবং তার আসল পরিচয় বছরের পর বছর ধরে গবেষকদের বিভ্রান্ত করেছে। তিনি তার গর্ভাবস্থার সপ্তম মাসে ছিলেন এবং গবেষকরা ভ্রুণের অসংখ্য ডিজিটাল রেন্ডার এবং সেগমেন্টেশন করেছেন। মমি বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অপসারণ করার সময় ভ্রুণকে সেই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছিল, যা নিয়ে গবেষকরা হতবাক। গবেষকরা অনুমান করেছেন যে, এটি প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে করা হয়েছিল। কারণ একটি শিশু যতক্ষণ গর্ভে থাকে ততক্ষণ সে তার মায়ের অন্তর্গত।

ওয়ারশ মমি প্রজেক্টের গবেষকরা মৃতদের জীবদ্দশায় দেখতে কেমন ছিল, তা জানার জন্য মমি করা ব্যক্তিদের পুনরায় মানবিক করার লক্ষ্যে কাজ করছেন। দুজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এখন টুডি ও থ্রিডি উভয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে রহস্যময় নারীর  মুখের পুনর্গঠন তৈরি করেছেন। তার মৃত্যু ২০ বছর বয়সে হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া মনে করা হচ্ছে যে, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, এ মিসরীয় নারী গল্পটি জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকে স্পর্শ করে- জন্ম ও মৃত্যু এবং মা। এ ছাড়া তার অনাগত সন্তানের মৃত্যুর পরবর্তী ভাগ্য অন্বেষণ করে। কাতোভিসের সাইলেসিয়া মিউজিয়ামে একটি প্রদর্শনীতে ওই নারীর মুখের পুনর্গঠনটি উন্মোচন করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর