মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নতুন বছরে ৪০০ রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের

নতুন বছরে ৪০০ রুশ সেনা হত্যার দাবি ইউক্রেনের

রুশ বাহিনীর দখলে থাকা দোনেৎস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৪০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে এ সংখ্যা নিশ্চিতভাবে যাচাই করা যায়নি। দোনেৎস্কের রুশ সমর্থক কর্তৃপক্ষ হতাহতের কথা স্বীকার করেছে, তবে খবরে প্রকাশিত সংখ্যাগুলো নিশ্চিত করেনি। রুশ অধিকৃত মাকিভকা শহরে একটি স্কুল ভবন রুশ সৈন্যরা ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। সেখানেই ইউক্রেনীয় রকেটটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এক রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দূরপাল্লার হিমার্স রকেট দিয়ে আক্রমণটি চালানো হয় এবং এটি ছিল এক বড় আঘাত। দোনেৎস্কের এক রুশ সমর্থক কর্মকর্তা দানিল বেজসোনভ বলেছেন, নতুন বছর শুরুর দিনে মধ্য রাতের দুই মিনিট পরই ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে। এদিকে রবিবার রাত থেকেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বিমান হামলার সতর্কতা সংকেত কার্যকর করা হয়। সেখানে রুশ বাহিনীর সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জারি রয়েছে। কয়েকজন রুশ ভাষ্যকার ও ব্লগারের পক্ষ থেকেও এ হামলার ঘটনাটি স্বীকার করা হয়েছে। তবে তারা বলছেন, এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ইউক্রেনের দাবি করা সংখ্যার চেয়ে অনেক কম। রুশ উপস্থাপক ভ্লাদিমির সলোভোভ তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লিখেছেন, হতাহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হলেও তা কখনই ৪০০ হবে না। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের হামলায় ৪০০ জন নিহতের পাশাপাশি আহত ৩০০ ছাড়িয়ে যাবে। দোনেৎস্কে রাশিয়ার নিয়োগ করা প্রশাসন বলেছে, নতুন বছরের শুরুতে অন্তত ২৫টি রকেট হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে মাকিভকা অঞ্চলে হামলার পরপরই কিয়েভে হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। কিয়েভের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো শুরু হয়।

কিয়েভের আঞ্চলিক গভর্নর ওলেস্কি কুলেবা বলেন, ‘কিয়েভ অঞ্চলে বিপদ চলছেই। আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী হামলাস্থলে কাজ করছে। সতর্কতা সংকেত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শান্ত ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকাটাই মূল বিষয়।’ তিনি অভিযোগ করেন, কিয়েভে হামলায় রুশ বাহিনী ইরানের শাহেদ ড্রোন ব্যবহার করছে। কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় দেসনিয়ানস্কি এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে। হামলায় একজন নিহত হয়েছেন।

ক্লিৎসকো আরও বলেছেন, রুশ ড্রোন আক্রমণে বিভিন্ন জ্বালানি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে। গত কিছু দিনে রাশিয়া ইউক্রেনের রাজধানীর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইরানে তৈরি ড্রোন দিয়ে অনেক আক্রমণ চালিয়েছে।

এর আগে নতুন বছর উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধ জয়ের প্রত্যয় জানান এবং এ বছরের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার কথা বলেন। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন।

 

সর্বশেষ খবর