একজন সুপরিচিত উইঘুর শিক্ষাবিদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে চীন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করায়’ যুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, যাবজ্জীবন কারাদন্ড পাওয়া উইঘুর শিক্ষাবিদের নাম অধ্যাপক রাহিল দাউত।
মানবাধিকার সংগঠনটি বলছে, ২০১৮ সালের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন রাহিল। এ আপিল খারিজের মাধ্যমে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা নিশ্চিত করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অভিযোগ রয়েছে বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণা যে, চীন গত কয়েক বছরে ১০ লাখেরও বেশি উইঘুরকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ‘পুনঃশিক্ষা শিবিরে’ আটক করে রেখেছে। তারা হাজারো ব্যক্তিকে কারাদন্ডের সাজা দিয়েছে। ডুই হুয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জন কাম বলেন, অধ্যাপক রাহিলকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি একটি নিষ্ঠুর দুঃখজনক ঘটনা। এ সাজা উইঘুর জনগোষ্ঠীর জন্য, যারা একাডেমিক স্বাধীনতাকে মূল্যবান মনে করে, তাদের জন্য একটা বড় ক্ষতি।
এদিকে রাহিলের মেয়ে আকেদা পুলাতি বলেন, তিনি প্রতিদিন তার মাকে নিয়ে চিন্তা করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমার নিরপরাধ মাকে কারাগারে তার জীবন কাটানোর চিন্তা করলেই অসহনীয় এক যন্ত্রণা অনুভব করি।’
২১০৭ সালে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিপন্ন করার অভিযোগে রাহিলকে গ্রেফতার করে চীনা কর্তৃপক্ষ। তার পরের বছর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জিনজিয়াংয়ের একটি আদালতে তার গোপন বিচার হয়। ২০০৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে জাতিগত সংখ্যালঘুবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন রাহিল। তিনি জিনজিয়াংয়ে এ বিষয়ে মাঠপর্যায়ের গবেষণা করেন। তিনি হার্ভার্ড, কেমব্রিজসহ যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বক্তব্যও দিয়েছিলেন।
