আজানের সময় তা শোনা এবং তার উত্তর দেওয়া আবশ্যক—এটা সবাই জানে। তবে আজানের মতো ইকামাতের উত্তরও যে দিতে হয় তা হয়তো অনেকেই জানে না।
ফকিহ আলেমরা বলেন, ইকামাতের উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। ইকামাতের উত্তর আজানের মতোই।শুধু ব্যতিক্রম ‘কাদ কামিতিস সালাহ’-এর ক্ষেত্রে। ইকামাত দাতা যখন ‘কাদ কামিতিস সালাহ’ বলবে, তখন অন্যরা বলবে, ‘আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ (আল্লাহ নামাজকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুন এবং তা স্থায়ী করুন)।
ইমাম শামি (রহ.) বলেন, ইকামাতের উত্তর আজানের মতোই দেবে। আর ‘কাদ কামিতিস সালাহ’ বলার সময় ‘আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ বলবে।
এটা সর্বসম্মতিক্রমে মুস্তাহাব। কেউ এটাকে ওয়াজিব বলেননি। (ফতোয়ায়ে শামি : ১/৪০০)
ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে লেখে হয়েছে, ইকামতের উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। যখন ইকামাতদাতা ‘কাদ কামিতিস সালাহ’ বলবে তখন শ্রোতারা বলবে, ‘আকামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহাল্লাহু মা দামাতিস সামাওয়াতু ওয়াল আরদু’ (আল্লাহ নামাজকে সুপ্রতিষ্ঠিত করুন এবং তা স্থায়ী করুন যত দিন তিনি আসমান-জমিন স্থির রাখবেন)। অবশিষ্ট বাক্যগুলোতে আজানের মতোই উত্তর দেবে। ১/৫৭)
আর আজানের উত্তর দেওয়ার নিয়ম হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। (মুসলিম, হাদিস : ৩৮৫)
অনেকেই আজানের সময় জবাব দিতে গিয়ে ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ’-এর জবাবে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’ বলে থাকে। এটি অনুচিত নয়। কেননা এ সময় দরুদ পড়ার নির্দেশ নেই। (আলবাহরুর রায়েক : ১/২৭৩, আহসানুল ফাতাওয়া : ২/২৭৮) (আল্লাহ সর্ববিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন।)