ভোটের লড়াইয়ে মা সুচিত্রা সেন না থাকলেও মুনমুনের পাশে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই কোনও ভয় নেই। এ কথাটি বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে কর্মি সভায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বললেন মুনমুন।
বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে মহানায়িকা কন্যা মুনমুন প্রথম কর্মিসভার ভাষণ শুরু করেছিলেন সুচিত্রা সেনকে দিয়েই। জনতার উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমার এই মঞ্চে দাঁড়ানো আমার মায়েরই দাঁড়ানো। তবে আমার আরেকটা পরিচয়ও আছে। আমার পাশে আছেন আমার স্বামী ভরত দেববর্মন। তার জন্যই আমার আরেক নাম, যেটা আপনারা সমস্ত দেওয়ালে দেখছেন- শ্রীমতী দেব ভর্মা। যাতে আর ভুল না হয়, তাই দেখিয়ে দিলাম।
পারিবারিক এই পরিচয়ের পরই মুনমুন চলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তিনি বলেন, 'আমার মা যখন হাসপাতালে অসুস্থ ছিলেন, একজন মহিলা এসে আমাকে বললেন, 'আমি বিরক্ত করতে চাই না ওঁকে'। সেই মহিলা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ উনি মাকে না দেখিয়ে, না জানিয়ে মায়ের জন্য যা করেছেন, তাতে তার উপর আমার বিশ্বাস কেবলই বেড়ে গেছে। তাই মানুষ যখন আমায় জিজ্ঞেস করছেন এমপি হলে আমার ভয় লাগবে কি না? আমি বলছি, কোনও প্রশ্নই ওঠে না ভয়ের, কারণ পাশে আছেন মমতা'।
জঙ্গলমহল, রাইপুর, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা, সিমলাপাল, তালডাংড়া থেকে কর্মিসভায় যোগ দিয়েছেন হাজারো মানুষ। তাদের মন জিততে বাংলা চলচ্চিত্রের একদা গ্ল্যামারগার্লের কথা, 'মমতাদিকে তো জয়েন করেইছি, তার সঙ্গে সঙ্গে তোমাদের সকলের জন্য জয়েন করেছি'।
জনতার জন্য কি করে যেতে চান তা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুনমুন। বললেন, 'আমি যেমন এতোদিন ভালোবেসে কাজ করে তোমাদের আনন্দ দিয়েছি, তোমরাও তোমাদের মধ্যে আমাকে নিয়ে কাজ করার সুযোগটা দেবে। আনন্দে, ভালোবেসে, আমি এখানে থেকে মাসের মধ্যে অন্তত সাত দিন থেকে কাজ করতে চাই। যখনই দরকার তখনই আসবো। ছোট ছোট কাজ- বড় কাজ বড়লোকদের উপর ছেড়ে দিলাম। হয়ত আমার মেয়েরাও একটু শিখবে দেশের কাজ করা।
নিজের অধিকার সম্পর্কে জানিয়ে মুনমুন বলেন, 'আমি এখানে ছবি করেছি, যাত্রা করেছি, পাহাড় দেখেছি, লালমাটি দেখেছি, মানুষের সঙ্গে মিশেছি। এখানে অনেক আদিবাসীও আছেন। তাই আমার মনে হয়, আমি অলরেডি এখানকার মানুষের সঙ্গে পরিচিত। আসব, আপনাদের সঙ্গে কাজ করব, এই আশায়।