৪ অক্টোবর, ২০১৯ ১৫:০০

আরএসএস কার্যালয়ে মিঠুন চক্রবর্তী, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

আরএসএস কার্যালয়ে মিঠুন চক্রবর্তী, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর সদর কার্যালয়ে হাজির ভারতের বিশিষ্ট অভিনেতা ও সাবেক তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার মহাপঞ্চমীর দিন সকালে মুম্বাই থেকে নাগপুরে নামেন এবং সেখান থেকে আরএসএস’এর সদর কার্যালয়ে সটান হাজির হয়ে যান মিঠুন। সেখানে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগাওয়ার এবং অন্যতম প্রাণ পুরুষ মহাদেব সদাশিব গোলওয়ালকরের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান মিঠুন। পরে দলের প্রধান মোহন ভাগবত ও অন্য সিনিয়র নেতাদের সাথে দেখা করেন মিঠুন। আরএসএস নেতাদের সাথে নাস্তাও করেন তিনি।

চিটফান্ড আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাংলার একাধিক রাজনৈতিক নেতা, অভিনেতাদেরকে যখন সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)-র মতো বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে হতে হচ্ছে-ঠিক সেসময় আরএসএস-এর শীর্ষ নেতাদের সাথে মিঠুনের এই সাক্ষাৎ নিয়ে রাজনেতিক মহলে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে।

যদিও আরএসএস-এর বিদর্ভ প্রচারক প্রসাদ মহানকর ভাগবতের সাথে মিঠুনের বৈঠককে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলে আখ্যায়িত করেন। আরএসএস কার্যালয়ে প্রায় এক ঘণ্টা সময় কাটান মিঠুন। এসময় তার সাথে সর্বক্ষণের সাথী ছিলেন প্রসাদ মহানকর।

একসময় পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত সিপিআইএ নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত থাকলেও সেসময় প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে দেখা যায়নি মিঠুনকে। কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের পরই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি তার আসক্তি দেখা যায়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। যদিও শারীরিক কারণেই দুই বছরের মাথাতেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তৃণমূলের সাংসদ থাকাকালীন সময়ে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারির মামলায় নাম জড়িয়েছিল মিঠুনের। তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তরফে সমনও পাঠানো হয়েছিল তাকে। পরে বিতর্ক থামাতে সারদার কাছ থেকে নেওয়া প্রায় ১ কোটিরও বেশি রুপি ফিরিয়ে দেন।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর