নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ক্রমেই বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিটিং-মিছিল-সভা থেকে তিনি একই ডাক দিচ্ছেন, ‘মানব না নাগরিকত্ব আইন’। নিজের সেই প্রতিবাদকে কলমের ডগাতেও নিয়ে এসেছেন তিনি। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে কয়েক দিনি আগে ‘নাগরিক’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার লিখলেন ‘অধিকার’ শীর্ষক একটি কবিতা।
তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখছেন, ‘আমি তো এ দেশটাকে চিনি না, আমি তো এইখানে জন্মাইনি, আমি তো জন্মেছি ভারতবর্ষে, বিভেদ করতে শিখিনি।’
কবিতার প্রতিটি ছত্রে তিনি যেমন সম্প্রীতি-ঐক্যের বার্তা দিচ্ছেন, তেমনি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রতিবাদও করেছেন সমানতালে।
তিনি লিখছেন, ‘আমার অধিকার আমার ঠিকানা, এ দেশটাতে থাকবে। তোমরা যারা ঘৃণা ছড়াও, তারা এবার শুধু কাঁদবে।’
কবিতার শেষে অবশ্য তিনি কবিতার মাধ্যমেই স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ঐক্যবদ্ধ ভারত থাকুক বিভেদকারীদের চাই না, আমরা সবাই নাগরিক সিএএ-এনআরসি মানব না।’
সিএএ বিরোধিতায় এর আগের কবিতাটি মমতা অবশ্য লিখেছিলেন স্লোগানের আঙ্গিকে। লিখেছিলেন, ‘আমরা সবাই নাগরিক, গণতন্ত্রে নাগরিক, চলার পথে নাগরিক, সংবিধানে নাগরিক, পথে পথে নাগরিক, চলছে যারা নাগরিক, বলছে যারা নাগরিক, লড়ছে যারা নাগরিক, জিতবে কারা নাগরিক।’
এর আগেও নানা ইস্যুতে কবিতা লিখে নিজের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হোক বা কেন্দ্রের ‘জনবিরোধী’ নীতি, নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলম ধরতে দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কবিতার মাধ্যমে নিজের মতামত সোচ্চারে প্রকাশ করেছেন তিনি। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার পরিপ্রেক্ষিতে লিখেছিলেন ‘লজ্জিত’। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমকে সিবিআইয়ের গ্রেফতারের প্রেক্ষাপটে লিখেছিলেন ‘একদিন’, তারপর সিএএ নিয়ে ‘নাগরিক’। আর এবার ‘অধিকার’। সূত্র: এই সময়
বিডি প্রতিদিন/কালাম