গত পাঁচ বছরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যটির ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মমতা ব্যানার্জির সম্পদের পরিমাণ কমেছে ৪৮.০৮ শতাংশ। রাজ্যের হাইপ্রোফাইল ‘নন্দীগ্রাম’ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন কমিশনে যে হলফনামা জমা দিয়েছে তাতে দেখা গেছে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৩৫২ রুপি।
পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার সময় মমতা যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, সেখানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ০১৩ রুপি।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ’ নামে একটি এনজিও দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের প্রার্থীদের তলফনামা বিশ্লেষণ করে যে রিপোর্ট সামনে এনেছে তাতে এই তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে দেখা গেছে সম্পদ কমে যাওয়ার শতাংশের বিচারে মুখ্যমন্ত্রীর পিছনেই রয়েছে দাসপুরের তৃণমূল বিধায়ক মমতা ভুঁইয়া এবং নন্দকুমারের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার দে।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মমতা ভুঁইয়ার সম্পত্তি কমেছে ৩৭.৫৩ শতাংশ, সুকুমারের কমেছে ৩৬.১৮ শতাংশ।
অন্যদিকে নন্দীগ্রামের বিজেপির প্রার্থী মমতার প্রতিপক্ষ শুভেন্দু অধিকারী সম্পত্তি বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ৬৮.৫৫ শতাংশ। ২০১৬ সালের হলফনামা অনুযায়ী শুভেন্দুর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬২ লাখ ৬০ হাজার। গত পাঁচ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৫ লা।খ ৫২ হাজার রুপি।
শতাংশের হিসাবে সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে পাঁশকুরা পূর্ব কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী শেখ ইব্রাহিম আলির, ২১৪১.৪৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে তিনি যখন প্রথম প্রার্থী হন তখন তার সম্পদ ছিল ৪৯,৭৩০ রুপি, ২০২১ সালের নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় অনুয়ায়ী আলির সম্পদ বেড়ে হয়েছে ১০ লাখ, ৬৪ হাজার ৯৫৬ রুপি। কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরার সম্পত্তি বেড়েছে ৭৩৫.৯৫ শতাশ।
একুশের নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ডেবরার বিজেপি প্রার্থী ও সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা ভারতী ঘোষ। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯ কেটি ২১ লাখ।
দ্বিতীয় দফায় মোট ১৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন সম্পত্তির নিরিখে কোটিপতি। এদের মধ্যে ১১ জন তৃণমূলের, ১০ জন বিজেপির।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন