কলকাতার মির্জা গালিব স্ট্রিটের একটি গেস্ট হাউজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সেখানকার নিউমার্কেট থানার পুলিশ। গ্রেফতার তিনজন হলেন গোলাম বারী ওরফে গুড্ডু, মামুন রশিদ ও বিসালিয়া গুপ্তা।
গোলাম ওই গেস্ট হাউজের মালিক। অন্যদিকে মামুন ডে ম্যানেজার ও বিসালিয়া নাইট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। তাদের প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনসহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজনই কলকাতার বাসিন্দা। শনিবার বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিন ভোরে ৫ নম্বর মির্জা গালিব স্ট্রিটে অবস্থিত ‘রাহবর’ নামে ওই গেস্ট হাউজটিতে অগ্নিকাণ্ড হয়। এ সময় ওই গেস্ট হাউজটিতে ৮ জন বাংলাদেশি ও ৩ জন ভারতীয় নাগরিক অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে। অগ্নিকাণ্ডে শামীমাতুল আরোজ নামে ৬১ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ৯ মার্চ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার কারণে কলকাতায় আসেন তিনি। তার সঙ্গে কলকাতায় আসেন তার ছেলে সাহদাত, ভাই রুহুল আমিন ও নাতি মাফিদুর। তারা সকলেই ওই গেস্ট হাউজেই ছিলেন। এদিন সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। যদিও ভাগ্যজোরে শামীমাতুলের পরিবারের বাকি তিনজন বেঁচে যান।
অন্যদিকে ব্যবসায়িক কাজে কলকাতায় আসেন ৪৩ বছর বয়সী মাহবুব আলম। তিনিও এসে ওঠেন ওই গেস্ট হাউজে। অগ্নিকাণ্ডে জখম হওয়ার পর প্রথমে তাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এদিন দুপুরেই তাকে দেখতে হাসপাতালে যান কলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনসুলার বসির উদ্দিন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতের দিকে তাকে কলকাতার বেলভিউ নার্সিং হোমে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে মাইনুল হক নামে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দাও জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ