শিরোনাম
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

পুলিশের এসিড ঝলসানো লাশ নিয়ে রহস্য, আটক ৮

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে পুলিশ কনস্টেবল রকিবুল হাসান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনো কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। তবে স্থানীয় আলোচিত মক্ষীরানী মিনু বেগম উরফে নীলার মা ও ৩ মহিলাসহ মোট ৮ জনকে এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। আটকদের বাড়ি ঘটনাস্থলের আশপাশে বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায়  একটি হত্যা মামলা করেছে পুলিশ। লাশের ময়নাতদন্তকারী  শেরপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোবারক হোসেন বলেন, এটি একটি ক্লিন মার্ডার। শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, কয়েকটি ক্লু ধরে তদন্ত চলছে। ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়েছে। এদিকে একেবারে পুলিশ লাইনের কাছে একজন পুলিশ সদস্যকে মর্মান্তিকভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে চলছে নানা আলোচনা। পুলিশ লাইনের আশপাশ এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে আতঙ্ক। শেরপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (শেরপুর সার্কেল) লাবণী খন্দকার বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্পর্শকাতর এ বিষয়টির ক্লু বের করতে যাকে দরকার তাকেই জিজ্ঞাসা করা হতে পারে। সাধারণ মানুষকে হয়রানির সুযোগ নেই।

 প্রসঙ্গত, শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ও এসিডে ঝলসানো  শেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত কনস্টেবল রকিবুল হাসানের লাশ সোমবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ লাইন সংলগ্ন পূর্বশেরী এলাকার রাস্তার পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচ থেকে উদ্ধার করে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার শৈলকুড়িয়া গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে নিহত পুলিশ কনস্টেবল রকিবুল ২০১৫ সালে ১৫ নভেম্বর চাকরিতে যোগদান করে শেরপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর