শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

পিয়াজের আবাদ বেড়েছে ফরিদপুরে

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

পিয়াজের আবাদ বেড়েছে ফরিদপুরে

দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর জেলায় পিয়াজের আবাদ করছে কৃষকেরা। জেলার নগরকান্দা, সালথা ও সদর উপজেলার মমিনখাঁর হাট হচ্ছে পিয়াজের জন্য বিখ্যাত। গত বছর পিয়াজ আবাদ করে কৃষক লাভবান হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলে ফরিদপুর জেলায় এ বছর পিয়াজের আবাদ হয়েছে ব্যাপকহারে। দাম ভালো পাওয়ায় নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার কৃষক এবার অন্য ফসল বাদ দিয়ে পিয়াজের আবাদ করেছে। এ বছর আবহাওয়া পিয়াজের জন্য অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষিরা। তবে, পিয়াজ আবাদে সার, কীটনাশক, পানি দেওয়ার খরচ বেশি পড়েছে। তাছাড়া কামলার খরচ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের কৃষক রহিম শেখ, আলেপ বেপারী, সোহরাব শেখ জানান, পিয়াজের দাম ভালো থাকায় তারা এবার বেশি জমিতে আবাদ করেছেন। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা রয়েছে তাতে প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে তারা পিয়াজ বিক্রি করে বেশ লাভবান হবেন।

সদর উপজেলার মমিনখাঁর হাট এলাকার পিয়াজ চাষি মমিনুর রহমান জানান, গত বছর মাত্র কয়েক বিঘা জমিতে তিনি পিয়াজ লাগিয়েছিলেন। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে পিয়াজ আবাদ করেছেন। বর্তমানে পিয়াজের যে দাম রয়েছে তাতে উৎপাদিত পিয়াজ বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। বর্তমানে পিয়াজ খেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ফরিদপুরে পিয়াজ আবাদ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় ১ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে পিয়াজের আবাদ হয়েছে। এ বছর পিয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। তবে আবাদ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ থেকে ১৩ টন পিয়াজের ফলন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কার্তিক চন্দ্র জানান, ফরিদপুর জেলা পিয়াজের জন্য বিখ্যাত। তাই এ অঞ্চলের পিয়াজ চাষিদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। পিয়াজ আবাদে চাষিদের উৎসাহিত করতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

সর্বশেষ খবর