মানিকগঞ্জের কৃষকরা এখন সাথী ফসলে সফলতার মুখ দেখছেন। সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করে বছর বছর লোকসান গুনলেও এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন জেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক। যে সব জমিতে বছরে এক বা দুই ফসল হতো সেসব জমিতে এখন একসঙ্গে তিন রকমের ফসল ফলিয়ে তারা লাভবান হচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার রমনপুর এলাকার কৃষকরা আখ চাষের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে মুলা অথবা ধনেপাতার চাষ করেছেন। মুলা ও ধনেপাতা বিক্রির পর জমিতে কেউ গোলআলু, কেউ তামাক, অথবা কপির চাষ করেছেন। সব ফসল ভালো হওয়ায় ধান-পাট চাষের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি লাভ হয়েছে বলে জানান কৃষকরা।

রমনপুর এলাকার কৃষক মো. আলমাস বিশ্বাস বলেন, কয়েক বছর আগে এই এলাকার কৃষকরা খুব খারাপ অবস্থায় ছিল। একফসলী জমি নিয়ে আমরা অনেক কষ্টে জীবন পার করেছি। আখ চাষের জমিতে এখন সাথী ফসল হিসেবে মুলা, ধনেপাতা, তামাক, কপি, আলুসহ বিভিন্ন রকমের ফসল হওয়ায় এলাকার সব কৃষক ভালো আছে। তিনি জানান রমনপুর, ডাউটিয়া, ঢাউলীসহ বিভিন্ন গ্রামের লোকজন একই জমিতে একসঙ্গে অনেক রকম ফসল ফলায়। এখানকার কৃষকরা বেকার থাকে না। বারো মাস জমিতে কাজ থাকে। ডাউটিয়ার মো. ওয়াজেদ খান বলেন, ছয় বিঘা জমিতে আখের সঙ্গে মুলা ও কপির আবাদ করেছি। দিনকাল ভালোই যাচ্ছে। আগের মতো অভাব নেই। মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, মানিকগঞ্জে মূল ফসলের সঙ্গে সাথী ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা। একই সময়ে তারা বিভিন্ন ফসল আবাদ করে অনেক লাভবান হচ্ছে। যেসব জমিতে একসঙ্গে অন্য ফসল চাষ করা যায় সে সব জমিতে সাথী ফসল চাষের উৎসাহ দিয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।