বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা
একনেকের বৈঠক

১২ হাজার কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় নতুন ১০টি ও সংশোধিত ৩টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ১৩ প্রকল্পের জন্য মোট ব্যয় হবে ১২ হাজার ৪৫৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

এর মধ্যে সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে জোগান দেওয়া হবে ৯ হাজার ৪৮১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, আর বিদেশি সহায়তা থেকে জোগান দেওয়া হবে ১৫৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে ২ হাজার ৮২৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। গতকাল রাজধানীর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগের ‘বড়পুকুরিয়া-বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন প্রকল্প’। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৩২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গতকালের সভায় আরও তিনটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে পায়রা সেতু দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩৬৮ কোটি ২৯ লাখ সরকারি অর্থায়ন এবং বিদেশি ঋণ রয়েছে ১ হাজার ৭৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মূল প্রকল্প ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে চলমান আছে। এই প্রকল্প ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় সংশোধনীতে এর মেয়াদ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ঢাকা শহরে ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৭৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গোপালগঞ্জে ‘এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা স্থাপন’ প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে ব্যয় হবে ৭৯৯  কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন। ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০১৩ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই ধাপে এর মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বাকি নয়টি নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মিরসরাইয়ে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের (এন-১০৪) ২-লেন অংশ (মহিপাল থেকে চৌমুহনী পূর্ব বাজার পর্যন্ত) চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘মহালছড়ি-সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের সিন্দুকছড়ি থেকে মহালছড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মোংলা বন্দরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি/সরঞ্জাম সংগ্রহ প্রকল্প। চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ জলমগ্নতা/জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন প্রকল্প। একই মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে ‘কুড়িগ্রামের চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর ভাঙনরোধ প্রকল্প। রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সোনাগাজী ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংযোগ সড়কে ফেনী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ’ প্রকল্প। কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের অধীন ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর