সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯ ০০:০০ টা
ইতিহাসের কাঠগড়ায় এরশাদ

গণতন্ত্র হত্যার জন্য এরশাদই দায়ী

-খায়রুল কবীর খোকন

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র হত্যার জন্য এরশাদই দায়ী

দেশের গণতন্ত্র হত্যার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদকেই দায়ী করেছেন সাবেক ছাত্রনেতা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এরশাদের রাজনৈতিক জীবন বিশ্লেষণ করি, তাহলে গণতন্ত্র হত্যার জন্য তিনিই দায়ী। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাতের অন্ধকারে গণতান্ত্রিক সরকারকে হঠিয়ে অস্ত্রের মুখে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এরশাদ। আবার বুক ফুলিয়ে নিজেকে আত্মস্বীকৃত স্বৈরাচার বলে আখ্যা দেন। আজকে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির এই দুরবস্থার জন্য অনেকাংশেই দায়ী এই স্বৈরশাসক। গতকাল বিকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে এসব কথা বলেন এক সময়ের ডাকসুর জিএস ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা খায়রুল কবীর খোকন। তার মতে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গে সব সময় হাত মিলিয়েছেন। ’৮৬ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কেউ নির্বাচনে গেলে জাতীয় বেইমান হবে। কিন্তু নিজেই শেষ পর্যন্ত ওই নির্বাচনে অংশ নিয়ে এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বেই ছাত্রজনতা রাজপথে নেমে এসেছিল। তিনিই গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেন। আজ সেই গণতন্ত্রের নেত্রী কারাগারে। গণতন্ত্রের ছদ্মাবরণে স্বৈরশাসন চলছে।

গণতন্ত্রের জন্য যার ত্যাগের কোনো তুলনা হয় না, সেই নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য আমরা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।

প্রধান দুই দলই তো এরশাদকে জোটে নেওয়ার জন্য টানাটানি করেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে খায়রুল কবীর খোকন বলেন, আওয়ামী লীগই সব সময় স্বৈরশাসনকে প্রশ্রয় দিয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে সেনাশাসনের সময় শেখ হাসিনা বলেছেন, এটা আমাদের আন্দোলনের ফসল। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সব সময় অবস্থান নেয় এই সরকার।

সর্বশেষ খবর