শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

শেরপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাগন চাষ

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ড্রাগন চাষ

শেরপুরে ড্রাগন ফল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নকলা উপজেলার পোলাদেশী, বাছুর আলগা, মোজার ও রামপুর এলাকার কয়েকজন  চাষি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কয়েক বছর ধরে ড্রাগন ফল চাষ করছেন। ড্রাগন একটি ফণি মনসা প্রজাতির ফল। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও চীন প্রভৃতি দেশে এ ফলের চাষ হয়ে থাকে। সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করে পরীক্ষামূলকভাবে দেশের কোনো কোনো এলাকায় ড্রাগন ফল চাষ শুরু হয়। ড্রাগন চাষের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১২ সালে তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী ও নকলা-নালিতাবাড়ীর এমপি মতিয়া চৌধুরীর নির্দেশে জামালপুর হর্টিকালচার সেন্টার নকলা উপজেলার ৩২০ জন প্রান্তিক চাষিকে ড্রাগন ফল গাছের কাটিংকৃত চারা ও চাষের জন্য প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিনামূল্যে প্রদান করেন। বর্তমানে এসব চাষি ড্রাগন ফল বিক্রি করে ও নিজেরা চারা কাটিং করে বিক্রির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ফলে বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার প্রান্তিক চাষিরা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বানেশ্বর্দী, মোজার বাজার, পোলাদেশী ও রামপুর গ্রামের অর্ধশতাধিক চাষির ড্রাগন গাছে সাদা-হলুদ বর্ণের অসংখ্য ফুল ঝুলছে। ফুল থেকেই ফল হবে। খেতে সু-স্বাদু, পুষ্টি ও ঔষধি গুণসমৃদ্ধ এ ফল বিক্রি হবে প্রকারভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে। বাজারে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা।  ড্রাগন চাষিদের চোখে-মুখে এখন হাসির ঝিলিক। তারা বলেন, ড্রাগন ফুল রাতে ফোটে, তাই একে নাইট কুইনও বলা হয়। কৃষিবিজ্ঞানীদের মতে, শেরপুর জেলার মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের উপযোগী।

 ফলে এ অঞ্চলে ড্রাগন চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে জেলার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাধিত হবে এবং বৈপ্লবিক উন্নতি ঘটবে। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বর্তমানে নকলা উপজেলায় আট শতাধিক ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। এসব গাছের ফলনও আশানুরূপ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস জানান, কৃষকদের ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহী করতে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। বাড়ির আঙ্গিনা ও অনাবাদি জমিতে ড্রাগন ফল চাষ করে যে কেউ স্বাবলম্বী হতে পারেন। 

সর্বশেষ খবর