গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মদিনের কথা বলে কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর থানার নৈয়পুরা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে শরীফ হোসেন (১৮), ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার উজান চন্দ্রপাড়া গ্রামের লিটন মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান সুজন (১৯), গাজীপুরের শ্রীপুর থানার নয়নপুর গ্রামের সাবাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০) ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার গোলাভিটা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে আহসান ওরফে হাসান (১৬)। র্যাব সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানি গাজীপুরের পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ওই গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের রাজবাড়ী এলাকায় অবস্থান করছে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি মো. শরীফ হোসেন (১৮) কে শহরের রাজবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে, ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্য পলাতক আসামি মো. ইমরান হাসান সুজন (১৯) ও মো. শরিফ উদ্দিন মোল্লা (২০) কে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ওই ধর্ষণের পরিকল্পনা ও ধর্ষণকারী মো. আহসান ওরফে হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সূত্র আরও জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি (২০২০) গাজীপুরের শ্রীপুরে জন্মদিনের কথা বলে কিশোরী ভিকটিমকে (১৫) ফুসলিয়ে এনার্জি ড্রিংকের মাধ্যমে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে সুকৌশলে পান করিয়ে তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ৪ বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে।
ঘটনাটি শ্রীপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। এ ব্যাপারে ভিকটিম তার পরিবারের অন্যদের কাছে প্রকাশ করতে গেলে গণধর্ষণকারীরা তাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীপুর থানায় মামলা (নং ৪২) দায়ের করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপরাধের দায় স্বীকার করে।