জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, দলের কোন্দল অনেক কমেছে। তবে এখনো দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে অনেক মোনাফেক। যারা সরকারি দলের হাতে হাত মিলিয়ে আমাদের ক্ষতি করছে। তিনি জানান আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ মৌখিক ৩ মাস হলেও অনেক দিন থাকা যাবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন তিন মাসের মধ্যে কমিটি করতে হবে; তবে ওই সময়ের ভিতর সম্ভব না হলে সময় আরও বাড়ানো হবে। আমরা ইতিমধ্যে ছাগলনাইয়া পৌর ও ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি করেছি। সহসাই অন্যান্য ইউনিটের কমিটিও শেষ করতে পারব। রাজনীতি করতে গিয়ে আমাদের পদে পদে বাধার মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যেমন একটি কেন্দ্রীয় কমসূচি পালন করতে অনুমতি নিতে এসপির কাছে গেলে এসপি বলেন ডিসি সাহেবের কাছে যান, ডিসি বলেন এসপির কাছে যান, এসপি আবার বলেন সদর থানায় যান, সদর থানা বলে ডিএসবির কাছে যান, ডিএসবি বলে ডিবির কাছে যান। মোট কথা আমাদের পারমিশন দেবে না। তাই আমরা মাঝে মধ্যে ঝটিকা কর্মসূচি পালন করি। তিনি বলেন তাকিয়া রোডের একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে সরকারি দল ঢুকে জোরপূর্বক নিজাম হাজারী, শেখ মুজিব, শেখ হাসিনার ছবি লাগিয়ে দিয়েছে।
যেটি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলালদের পৈতৃক ভূমি। সেখানে আমরা নিয়মিত বসতাম। সকাল-সন্ধ্যা সরগরম থাকত। এটা যাতে ভেস্তে যায় সেজন্য তারা অফিসে ঢুকে অফিসের স্টাফদের মারধর করে বের করে দেয়। তিনি সরকারি দলের এবং দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকা দালালদের সম্পর্কে সব নেতা-কর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
