শিরোনাম
বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

বিদেশিদের দিয়ে বিজ্ঞাপন তৈরি করলে অতিরিক্ত কর : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি শিল্পী দিয়ে নির্মিত বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করলে অতিরিক্ত কর দিতে হবে। অতিরিক্ত কর আরোপের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, বিদেশি দ্বিতীয়  গ্রেডের শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ ও তা টিভিতে প্রচারে হিড়িকের ফলে আমাদের দেশের যোগ্য শিল্পী-কুশলীরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে আগে থেকেই পৃথক কর ছিল, কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বিধায় আমরা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। গতকাল সচিবালয়ে তার দফতরে ডিরেক্টরস গিল্ড নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। ডিরেক্টরস গিল্ড সভাপতি সালাহউদ্দীন লাভলুর নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলীক, শহীদ রায়হান, ফরিদুল হাসান, তুহিন হোসেন, আরিফ আল আহনাফ ও ইসমাইল আহমেদ তালুকদার অয়ন প্রমুখ বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় তথ্যসচিব কামরুন নাহার উপস্থিত ছিলেন। ডিরেক্টরস গিল্ড নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যথেচ্ছভাবে বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং করে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে প্রচারের মাধ্যমে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ রোধে আমরা একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি।

এই কমিটি প্রথমে বিদেশি সিরিয়ালগুলো এবং আমাদের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট পরীক্ষা করে তারপর অনুমতি দেবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত ছিল তাদের বিচার হয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল সাহেবের কথা শুনে মনে হয়, পেছনের কলকাঠি পরিচালকদের বিচারের জন্য  বেগম খালেদা জিয়াসহ সেসব বিষয় তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। কারণ এ বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন ভোরবেলা  বেগম খালেদা জিয়া তার ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। আর সেই রাতে এবং দিনে তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে ৪০ বারের বেশি ফোনে কথা বলেন। এই রহস্য উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য প্রথমত, আদালত ও বিচারের প্রতি কটাক্ষ, দ্বিতীয়ত তার দাবি অনুসারে আরও অধিক তদন্তের মাধ্যমে বেগম জিয়া যিনি সকাল ১১টার আগে ওঠেন না বলে প্রচলিত, তিনি কেন প্রত্যুষে ওঠে চলে গেলেন, তার পলাতক পুত্রের সঙ্গে এতবার কথা বললেন- তা তদন্ত করে বিচার হওয়া প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পিলখানা বিদ্রোহের বিচার সমসাময়িক বিশ্বে বৃহৎ বিচার কাজের এক অনন্য নজির। এতবড় ঘটনা নিয়ে এতগুলো সাক্ষী সংবলিত বিচারকার্য পৃথিবীর ইতিহাসে কম হয়েছে। রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যারা অভিযুক্ত হয়েছেন তারা সাজা ভোগ করছেন।

পুরান ঢাকায় দুজনের বাড়ি থেকে অবৈধ অর্থ উদ্ধার এবং পাপিয়ার গ্রেফতার ও তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্রব সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যুব মহিলা লীগের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তির বিষয়ে যুব মহিলা লীগ থেকে ইতিমধ্যেই বক্তব্য দেওয়া হয়েছে ও তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগে কিছু অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে এবং সেই অনুপ্রবেশকারীদের অনেকে সুযোগসন্ধানী অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত। সেই সুযোগসন্ধানীরা তাদের অপকর্ম ঢাকতে রাজনৈতিক ঢাল ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়।

সর্বশেষ খবর