সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্টের মতো করোনার উপসর্গ নিয়ে চারজন মৃত্যুবরণ করেছেন। তাদের মৃত্যুর পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাগুলোয়। তাদের বাড়িঘর এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে দুই যুবক মারা গেছেন। তারা গত বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দক্ষিণ নাগাইশ গ্রামের মুরাদ বাড়ির দেলোয়ার হোসেন (৩৫) তিন মাস আগে সিঙ্গাপুর থেকে আসেন। কিছুদিন যাবত ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত বুধবার তার শ্বাসকষ্ট হলে তার পরিবারের লোকজন কুমিল্লার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে না রাখলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তিনি মারা যান। এছাড়া উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের মন্তু মিয়ার ছেলে রকিবুল ৭/৮ দিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর ছিল তার। বুধবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফৌজিয়া সিদ্দিকা জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মৃত দুই যুবকের দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। মৃত দুই যুবকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার চকরহিমাপুর গ্রামে গতকাল করোনা উপসর্গ নিয়ে সুদর্শন দেবনাথ (৩৮) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি চকরহিমাপুর গ্রামের নিবারণ দেবনাথের ছেলে ও গোবিন্দগঞ্জ বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী। গত ১৫ মে থেকে সুদর্শন জ্বর ও সার্দি কাশিতে ভুগছিলেন। গতকাল সকালে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় তাকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলাম রাশেদ জানান, সুদর্শন নামের ব্যক্তির সর্দি জ্বর ও কাশিসহ অসুস্থতা থাকায় খবর পেয়ে ১৮ মে তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত কি-না তা জানতে নমুনা রংপুর পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট আশার আগেই তার মৃত্যু হয়। বান্দরবানে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অন্যদিকে আইসোলেশনে শিশুসহ চারজন ভর্তি হয়েছেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সবারই উপসর্গ রয়েছে।