বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা

সমুদ্রসৈকত ফিরছে আগের চেহারায়

কক্সবাজার ও পটুয়াখালী প্রতিনিধি

সমুদ্রসৈকত ফিরছে আগের চেহারায়

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও কুয়াকাটা সৈকতে বাড়ছে ভিড় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

ঈদের ছুটিতে দেশের দুই সমুদ্রসৈকতে ভিড় করতে শুরু করেছে পর্যটকরা। স্থানীয় দর্শনার্থী ও দেশি-বিদেশি পর্যটকের উপস্থিতিতে ফিরতে শুরু করেছে পুরনো চেহারা। কক্সবাজার সৈকত এখনো পর্যটকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া না হলেও গতকালও আগের মতোই ভিড় ছিল এখানে। স্থানীয় দর্শনার্থীদের সঙ্গে বেশকিছু পর্যটকও ছিল কক্সবাজার সৈকতে। অন্যদিকে ঈদের পর থেকে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। করোনাভাইরাসের দুর্যোগ পেছনে ফেলে পর্যটকদের সমাগমে এখন মুখর সাগরকন্যা। দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর এমন দৃশ্য আর দেখা যায়নি। করোনার কারণে গত চার মাস ধরে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতেও প্রবেশে ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে ঈদের পর থেকে সেই কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই পুরনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে চিরচেনা সৈকত। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে ভিড় করতে শুরু করেছেন পর্যটকসহ দর্শনার্থীরা। দীর্ঘসময় পর ঘরবন্দী মানুষগুলো সৈকত দেখতে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। তবে সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য প্রচারণাসহ মাইকিং করতে দেখা গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশকে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, আগামী ৫ আগস্ট সৈকতের দোকানপাট, রেস্তোরাঁ ও সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল কাজ করছে। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত ঘুরে দেখা যায়, নেচে-গেয়ে দীর্ঘদিনের ঘরবন্দী মানুষ মিলিত হয়েছে প্রাণের স্পন্দনে। সব কিছুই মিলিয়ে দীর্ঘদিনের সুনসান নীরব পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা পুনরায় ফিরে পেয়েছে পূর্ণতা। সৈকতের দর্শনীয় স্থানগুলো বাইকে ঘুরে দেখছেন ভ্রমণপিপাসুরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর